নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ পুরাতন মোটরস্ট্যান্ডকে দখলমুক্ত করতে গিয়ে তীব্র বেগ পেতে হচ্ছে প্রশাসনকে৷ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে
সদ্য রং পাল্টানো কিছু উশৃঙ্খল অটো চালক৷ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্ট্যান্ডকে সরাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশ এবং পুরনিগমকে৷ এখনও দীর্ঘ ২৫ বছরের পরম্পরা বজাায় রয়েছে এখানে৷ এখনও সিট্যু পরম্পরা অব্যাহত রয়েছে৷ রাতারাতি সিট্যু ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে আসা কিছু উশৃঙ্খল অটো চালকের কারণে পুরাতন মোটর স্ট্যান্ডকে দখলমুক্ত করতে গিয়ে নানান সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে প্রশাসনকে৷
অভিযোগ, ওইসব রং পাল্টানো কিছু উশৃঙ্খল অটো চালক আজও পুরনো পদ্ধতিকে বজায় রেখে মোটর স্ট্যান্ডকে বেআইনীভাবে দখল করে আছে৷ প্রশাসন এই বেআইনিভাবে দখল করা মোটর স্ট্যান্ডকে মুক্ত করতে গিয়ে আজ কিছু উশৃঙ্খল অটো চালকদের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়ার ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে৷ যদিও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷
সংবাদে প্রকাশ, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টা নাগাদ পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মোট্রস্ট্যান্ডে বিভিন্ন রুটের অটো চালকদের নেতৃত্বদের জানিয়ে দেয় যে আগামীকাল থেকে এখানে কোন অটো দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহণ করতে পারবে না৷ কোন ধরনের স্ট্যান্ড হবে না এখানে৷ সবাইকে চন্দ্রপুর আইএসবিটি থেকে পারিমিট মোতাবেক সংশ্লিষ্ট রুটে যাত্রী পরিষেবা দিতে হবে৷ আজকেই এখানে তাদের শেষ অটো পরিষেবা৷ আগামীকাল থেকে এখানে অটো থামতে দেওয়া হবে না৷ প্রশাসনের তরফ থেকে এই কড়া বার্তা পেয়ে অটো চালকদের মধ্যে মুহুর্তের মধ্যেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়৷ তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে কোন ধরনের যাত্রী পরিষেবা তারা দেবে না৷ তাদের দাবী যেভাবে চলছে সেভাবেই চলতে দিতে হবে৷ অন্যথায় তারা আন্দোলন সংগঠিত করবে৷ সিট্যু পরম্পরা অব্যাহত রেখেছে গেরুয়া শিবিরে আসা নব্যরা৷ তারা বিভিন্ন রুটে অফিস টাইমে যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করে দেয়৷ সুকল, কলেজ, অফিস, আদালতের যাত্রী সাধারণকে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হয়৷
অটো চালকদের উশৃঙ্খলতা এতটাই বেড় যায় যে তারা মোটরস্ট্যান্ড এলাকা দিয়ে কোন ধরনের যানবাহনেই যাত্রী পরিষেবা দিতে দেয়নি৷ রিক্সা, টমটম সহ অন্যান্য গাড়িগুলিকে আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেয়া হয়৷ পুলিশের সামনেই চলতে থাকে এসব৷ শেষ পর্যন্ত অটো চালকদের এক প্রতিনিধি দল সেখানে পূর্ব থানায় যায়৷ পুলিশের সাথে কথা বলেন৷ সেখানে কোন ধরনের আশ্বাস না পেয়ে তারা পরিবহণ দপ্তরের কমিশনারের সাথে সাক্ষাৎ করেন৷ একটি সূত্রে জানা গিয়েছে পরিবহণ দপ্তর থেকে বলা হয়েছে শারদোৎসব পর্যন্ত পুরনো মোটরস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী পরিষেবা দেওয়া যাবে৷ তারপর প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে৷ প্রশাসনের এই বক্তব্যে কিছুটা সন্তুষ্ট হয়ে দুপুরের পর পরিষেবা স্বাভাবিক করে অটো চালকরা৷