হাফলং (অসম), ৫ জুন (হি.স.) : কারবি আংলং, পশ্চিম কারবি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলাকে নিয়ে গঠিত ৬ নম্বর ডিফু উপজাতি সংরক্ষিত সংসদীয় আসনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ফলাফলে ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ তুলেছেন দ্বিতীয় স্থানাধিকারী নির্দল প্রার্থী জন ইংতি কাথার। নির্বাচন কমিশনের ফলাফল এবং ডিস্ট্রিক্ট রিটার্নিং অফিসারের প্রকাশিত ফলাফলে ১০ হাজার ভোটের গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন জন ইংতি।
এ ব্যাপারে ভারতের নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন জন ইংতি কাথার। ডিফু লোকসভা আসনে মোট ভোটার ৯ লক্ষ ১ হাজার ৩২ জন। ভোটদান করেছেন ৬ লক্ষ ৮২ হাজার ৪৪১ জন। এর মধ্যে বিজেপির বিজয়ী প্রার্থী অমরসিং তিসো ভোট পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬২০টি। নির্দল প্রার্থী জন ইংতি কাথার মোট ভোট পেয়েছেন ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৭টি। হারের ব্যবধান ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬০৩ ভোটের।
এই ফলাফল ঘোষণার পর ডিফু লোকসভা আসনের নির্দল প্রার্থী জন ইংতি কাথার নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত ফলাফল ও ডিস্ট্রিক্ট রিটার্নিং অফিসারের প্রকাশিত ফলাফলে গরমিল রয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ডিফু লোকসভা আসনে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে ডিফু লোকসভা আসনে তৃতীয় স্থানাধিকারী কংগ্রেস প্রার্থী জয়রাম ইংলেং মোট ভোট পেয়েছেন ১ লক্ষ ২৪ হাজার ১৯টি। চতুর্থ স্থান নোটার। নোটায় ভোট পড়েছে ১৬ হাজার ২৫৯টি। নোটা থেকে ভোট কম পেয়েছেন গণ সুরক্ষা পার্টির জন বার্নাড সাংমা। তিনি ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ২৭৯। এএসডিসি প্রার্থী জৎসন বে পেয়েছেন ৯ হাজার ৬৩৩টি ভোট।
অন্যদিকে ডিফু লোকসভা আসনের অন্তর্গত হাফলং বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অমরসিং তিসোর পক্ষে ভোট পড়েছে ৫৯ হাজার ৬২১টি। কংগ্রেস প্রার্থী জয়রাম ইংলেং ভোট পেয়েছেন ৩৫ হাজার ২৭০টি। নির্দল প্রার্থী জন ইংতি কাথারের পক্ষে পড়েছে ১৭ হাজার ৫৭৬টি ভোট। হাফলং বিধানসভা কেন্দ্রে নোটায় ভোট পড়েছে ১,৫১৭টি। গণ সুরক্ষা পার্টির জন বার্নাড সাংমা পেয়েছেন ১,১৫৭টি এবং এএসডিসির প্রার্থী পেয়েছেন ৬৪০টি ভোট।
উল্লেখ্য, এক সময় কারবি আংলং, ডিমা হাসাও জেলাকে নিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ২৪৪ (ক) অনুচ্ছেদ অনুসারে পৃথক স্বশাসিত রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনকারী এএসডিসি দলকে এবার পাহাড়ি জেলার মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের নির্বাচনে কংগ্রেস একটি আসনে জয়ী না হলেও লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভোট প্রায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। যা ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের কাছে স্বস্তির বিষয় বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।