নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ সেপ্টেম্বর ৷৷ বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিত্যদিনের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ করিৎকর্মা বিদ্যুৎ নিগম এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য সংস্থাগুলি পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে চরম গাফিলতি করে চলেছে৷ তাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তারা৷ এদিকে, বিদ্যুৎ চপলতায় অতিষ্ঠ আনন্দনগর প্রাথমিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা৷ বিদ্যুৎ না থাকার কারণে প্রায় সময়ই অন্ধকারের মধ্যে হাসপাতালে মোমবাতি দিয়ে পরিষেবা দেওয়া হয়৷ এ বিষয়ে উদাসীন স্বাস্থ্য দপ্তর এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ মঙ্গলবার বিকেলে স্বল্প বৃষ্টিতে মুখ থুবড়ে পড়ে হাসপাতালের বিদ্যুৎ পরিষেবা৷ গরমে দীর্ঘ ঘন্টার পর ঘন্টা হাসপাতালে রোগীরা কাঁতরাতে দেখা গেছে৷ রোগীদের অভিযোগ প্রায় দিনেই এ ধরনের দর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হাসপাতালে রোগীদের৷ তবে বিকল্প ব্যবস্থার জন্য জেনারেটর রয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছু বলতে পারছে না হাসপাতালে ভর্তি রোগীর পরিজন৷ যার ফলে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিল রোগীর পরিজন৷ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স সঠিক সময়ের মধ্যে পাওয়া যায় না৷ সংকট জনক রোগী নিয়ে বেকাদায় পড়তে হয় রোগীর পরিবার পরিজনদের৷ হাসপাতালে পরিষেবা এতটাই নগ্ণতা প্রকাশ পাচ্ছে যে আগামী দিনে হয়তো রোগী নিয়ে আসতে মানুষকে অধিকবার ভাবতে হবে৷ যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন ধরনের স্পষ্টিকরণ পাওয়া যায়নি এদিন৷ কিন্তু ঘন্টার পর ঘন্টা গরমের মধ্যে হাসপাতালের বিছানায় পড়ে থেকে রোগীরা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে৷ এই হাসপাতালে আনন্দনগর, মহেশখলা, শ্রীনগর আমতলী সহ আশপাশ এলাকার বহুরোগী চিকিৎসা পরিষেবার জন্য প্রতিদিন আসে৷ কিন্তু হাসপাতালে এ ধরনের পরিষেবা দীর্ঘ বছরের পর বছর ধরে চলছে৷ স্থানীয় বিধায়ক থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের এ বিষয়ে কোনো রকম হেলদোল নেই৷ অবিলম্বে আনন্দ নগর হাসপাতাল সহ পার্শবর্তী এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা নিরবচ্ছিন্ন করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন সংঘটিত করা হবে বলেও এলাকাবাসীর তরফ থেকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে৷
2022-09-06