আগরতলা, ৩০ সেপ্টেম্বর (হি. স.) : ত্রিপুরায় তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস নিয়েছে রাজ্য সরকার। গ্রাম সভা আয়োজনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের সমস্যা জানবে ত্রিপুরা সরকার। বিশেষ করে গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটির কাজে স্বচ্ছতা এবং দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই সাধারণ মানুষের সাথে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গ্রামোন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত সচিব ডি রিয়াং এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন এবং আগামী ২ অক্টোবর গ্রাম সভার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর কথায়, গত বছরের মতোই এবছরও সারা ত্রিপুরায় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটি গ্রাম সভার আয়োজন করবে। তাতে দুর্বল অংশের নাগরিক, স্ব-সহায়ক দল এবং সামনের সারির যোদ্ধারা অংশ নেবেন। তাঁরা যাবতীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন। ওই সভায় পিপলস প্ল্যান কেম্পেইন ২০২১-র সূচনা হবে।
ওই সভায় পানীয় জল এবং স্বাস্থ্যবিধান সংক্রান্ত বিবিধ সমস্যা বিস্তারিত আলোচনা হবে। জল জীবন মিশনের অধীনে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ওই আলোচনায় পরিশ্রুত পানীয় জল এবং স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে সচেতন করা হবে। এছাড়া, নির্দিষ্ট কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভিলেজ কমিটিতে ১ অক্টোবর থেকে ৭ অক্টোবর আজাদি কা অমৃত মহোত্সবের অধীনে ৩০ সপ্তাহের কর্মসূচির সূচনা হবে এবং কৃত্রিম প্রজনন নিয়ে সচেতনতা গড়ে তোলা হবে।
এদিকে, প্রত্যেক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকাদের প্রাথমিক সমীক্ষা, ষান্মাসিক পরীক্ষা এবং ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের বার্ষিক পরীক্ষা, মার্চ ২০২১ এবং আগস্ট ২০২১-র মূল্যায়ন অনুসারে ছাত্রছাত্রীদের শিখন স্তরের প্রকৃত অবস্থা জানাতে হবে। অনর্গল পড়তে অভ্যস্ত ছাত্রছাত্রীদের মহাত্মা গান্ধীর বাণী পড়তে হবে, তাতে সভায় উপস্থিত সকলেই উত্সাহিত হবেন। মূলত, করোনার প্রকোপ কাটিয়ে বিদ্যালয়ে পঠন-পাঠন শুরু হওয়ার পর এখনো যারা বাড়িতে বসে রয়েছে তাঁদের উত্সাহিত করার লক্ষ্যেই ওই আয়োজন বলে দাবি গ্রামোন্নয়ন দফতরের। এছাড়া, জল শক্তি অভিযানের অন্তর্গত যখনি পড়বে, যেখানে পড়বে, বৃষ্টির জল ধরে রাখুন, এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।
এদিকে, সমস্ত বিডিওদের গ্রাম সভায় উপস্থিত থাকার জন্য অন্তত আধিকারিকরে নিযুক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছে গ্রামোন্নয়ন দফতর। শুধু তাই নয়, গ্রাম সভার স্পষ্ট ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে। এমনকি, সমস্ত কোভিড বিধি মেনে ওই সভার আয়োজন করতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।