রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তীতে তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের কবি প্রনাম

আগরতলা, ৯ মে: তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আজ কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে সকালে আগরতলা রবীন্দ্র কাননে অনুষ্ঠিত হয় প্রভাতী কবি প্রণাম অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূর্ণাবায়ব মূর্তিতে ফুল মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আগরতলা পুুর নিগমের মেয়র তথা বিধায়ক দীপক মজুমদার।

তাছাড়া, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়িকা মিনা রানী সরকার, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের বিশেষ সচিব দেবপ্রিয় বর্ধন, হর্টিকালচারের চেয়ারম্যান জহর সাহা, রাজ্য সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত চক্রবর্তী, রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন ঝরনা দেববর্মা, বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী কমল বরণ চক্রবর্তী, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র তথা বিধায়ক মজুমদার বলেন পরাধীন ভারত কে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ যেমন উৎসাহ জুগিয়েছেন আজকের দিনেও তিনি ততটা প্রাসঙ্গিক। দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বীর সেনানিদের প্রতি শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। মেয়র বলেন রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যত বেশি চর্চা হবে সমৃদ্ধ হবে সমাজ। রবীন্দ্রনাথের চিন্তাধারা দর্শন সৃষ্টি আগামী প্রজন্মের মধ্যে আরো বেশি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সবার কাছে আহ্বান রাখেন।

তিনি আরও বলেন, বাঙালি হিসেবে রবীন্দ্রনাথ যেভাবে আমাদের কাছে গর্বের ঠিক এমনি রাজ্যবাসী হিসেবে ও তিনি আমাদের কাছে গর্বের অহংকারে কারণ রবীন্দ্রনাথ কে প্রথম রাজ পরিবার কিশোর কবির স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। ত্রিপুরায় বসে বহু গান কবিতা নাটক উপন্যাস লিখেছেন। শুধু তাই নয় সাতবার তিনি এ রাজ্যে এসেছেন। তার সঙ্গে রাজ পরিবারের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তাই রবীন্দ্রনাথ আরো বেশি জানতে হবে তাকে নিয়ে চর্চা করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *