নয়াদিল্লি, ৮ মে : বিচারপতির বাসভবনে নগদ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় গঠিত ‘ইন-হাউস’ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে পাঠালেন দেশের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। আগামী সপ্তাহে অবসর নিতে চলা প্রধান বিচারপতি এই রিপোর্টে দিল্লি হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে ওঠা গুরুতর অভিযোগের তদন্তের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন।
সুপ্রিম কোর্টের তরফে বৃহস্পতিবার জারি এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “প্রধান বিচারপতি ইন-হাউস পদ্ধতি অনুসারে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। গত ৩ মে ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির রিপোর্ট এবং ৬ মে বিচারপতি যশবন্ত বর্মার পাঠানো উত্তর সংযুক্ত রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, গত ১৪ মার্চ জাতীয় রাজধানীতে অবস্থিত বিচারপতি বর্মার বাসভবনের সংলগ্ন স্টোর রুমে আগুন লাগার পরে দমকল কর্মীরা বিপুল পরিমাণ পুড়ে যাওয়া নগদ টাকা উদ্ধার করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পরপরই বিচারপতি বর্মার দিল্লি হাইকোর্ট থেকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে বদলির সুপারিশ করে সুপ্রিম কোর্টের কোলিজিয়াম। এরপর কেন্দ্র তা মঞ্জুর করে।
বিচারপতি বর্মা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সিনিয়র বিচারপতি ছিলেন। তাঁকে হাইকোর্ট এলাহাবাদে বদলি করা হলেও, কোলিজিয়াম পরিষ্কার করে জানিয়েছে— এই বদলি প্রক্রিয়া ‘ইন-হাউস’ তদন্ত প্রক্রিয়া থেকে স্বতন্ত্র ও স্বাধীন। বিচারপতি বর্মাকে বিচারিক কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং পরে তাঁকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে পাঠানো হয়। যদিও লখনউ ও এলাহাবাদ বার অ্যাসোসিয়েশন এই বদলির বিরুদ্ধে আপত্তি তোলে। বিচারপতি বর্মা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এই পরিস্থিতিতে মার্চের শেষ সপ্তাহে প্রধান বিচারপতি খান্না একটি তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন। কমিটির সদস্যরা হলেন— পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি শীল নাগু, হিমাচল প্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জি.এস. সন্দাওয়ালিয়া এবং কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি অনু শিভারমন। এই ‘ইন-হাউস’ তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে ভবিষ্যতে বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেদিকে তাকিয়ে দেশ।