নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৭ মার্চ: স্বামীর অত্যাচারে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন নাবালিকা গৃহবধূ। অগ্নিদগ্ধকে শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করল নাবালিকার পিতা। ঘটনা মনু এলাকায়। সাত দিন পর আহত নাবালিকা গৃহবধূকে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। শরীরে বহু অংশে ধরে গেল পচন। বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে গৃহবধূ।
বিয়ের দুই মাসের মাথায় ১৬ বছরের এক নাবালিকা গৃহবধূকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে তার স্বামী বলে অভিযোগ। ঘটনা মনু এলাকায়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে নাবালিকা গৃহবধূর বাবা জানান তাদের বাড়ি খোয়াই থানাধীন আমপুরা এলাকায়। গত দুই মাস আগে মনু এলাকার রমেশ মুন্ডার সাথে ১৬ বছরের এই নাবালিকার বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী রমেশ মুন্ডা প্রতিদিন তার মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন করতো।
এইভাবে চলে প্রায় দুই মাস। গত ১০ ই মার্চ স্বামী রমেশ মুন্ডা তার মেয়ের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। এরপর নাকি স্বামী রমেশ মুন্ডা পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে গৃহবধূর বাবা কোনভাবেই ফোনে তার মেয়ের সাথে কথা বলতে পারছিল না। তাতে করে গৃহবধূর বাবার সন্দেহ হয়। এরপর মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় মেয়ের সাথে এই ঘটনা ঘটেছে। শনিবার মেয়েকে নিয়ে আসে তার পিতা-মাতা খোয়াই আম্পুরা এলাকায়।
রবিবার দুপুরে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গৃহবধূকে জিবি হাসপাতালে রেফার করেন। শরীরে আগুন লাগার পর সাত দিন ঘরে থাকার ফলে তার শরীরে পচন ধরে গেছে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে অসহায় পিতা। অভিযুক্ত স্বামীর কঠিন শাস্তির দাবি করেছেন তিনি।