BRAKING NEWS

অসমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আবেগিক নয়, হৃদয় থেকে ভালোবাসতে হবে, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী

– গুয়াহাটিতে ১১২ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে নবনির্মিত কর ভবন উদ্বোধন হিমন্তবিশ্বের

গুয়াহাটি২ মাৰ্চ (হি.স.) : অসমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কেবল আবেগিক নয়, হৃদয় থেকে ভালোবাসতে হবে। ছোট ছোট বিষয়গুলির ওপর গুরুত্ব প্ৰদান করতে হবে। কেবল একজন ব্যক্তির স্বপ্ন-বলে কোনও একটি রাজ্যের পরিবৰ্তন করা যায় না। এটা করতে হলে প্রয়োজন সামূহিক প্ৰয়াস, বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

আজ গুয়াহাটির গণেশগুড়িতে ১১২ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষে নবনির্মিত কর ভবন উদ্বোধন করে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. শর্মা। মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, গ্ৰিন বিল্ডিং নিৰ্মাণে ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। কোনও একটি অট্টালিকা নিৰ্মাণের সময় লোকনিৰ্মাণ (পূর্ত) বিভাগকে কীভাবে বিদ্যুৎ রেহাই করতে হবে, তার প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্ৰজন্মের জন্য পৃথিবীকে জীবিত রাখতে হবে। অট্টালিকা নিৰ্মাণের সময় যাতে সৌরশক্তি ব্যবহার করা যায়, সে ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্ৰহণ করতে হবে। বলেন, প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী সংকল্প নিয়েছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে কেন্দ্ৰীয় সরকারের প্ৰত্যেকটি কাৰ্যালয় সৌরশক্তির ওপর নিৰ্ভরশীল হবে। তা হবে পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখতে সফল পদক্ষেপ। বিদ্যুতের হিসাব পরীক্ষা ফাৰ্ম গঠন করে জরুরিকালীন পরিষেবার কাৰ্যালয়গুলি ছাড়া বাকি কাৰ্যালয়গুলিতে স্বয়ংক্ৰিয় বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা প্ৰয়োগ করা হবে বলে জানান তিনি। হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ইতিমধ্যে রাজ্যে ২৩২টি কাৰ্যালয়ে এই ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ উদ্বোধিত নবনিৰ্মিত ভবন উন্নত কর ব্যবস্থাপনা, ৫০০-এর বেশি আদিকারিক-কৰ্মচারীর জন্য সুবিধা, রাজ্যের অৰ্থব্যবস্থার উন্নয়ন তথা সুষ্ঠু কর সংগ্ৰহ প্ৰক্ৰিয়া গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এক গতিশীল ভূমিকা গ্ৰহণ করতে সক্ষম হবে।

রাজ্যের প্ৰত্যেক কাৰ্যালয় নিৰ্মাণ করতে যাতে সৌরশক্তি এবং জীবাশ্ম ইন্ধনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যায়, সে ব্যাপারে গুরুত্ব দিতে লোকনিৰ্মাণ বিভাগের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।

ড. হিমন্তবিশ্ব বলেন, জিএসটি বলবৎ হওয়ার পর কর বৃদ্ধি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ লাভ করেছেন। আধিকারিক-কৰ্মচারীরা কৰ্মদক্ষতা প্ৰদৰ্শন করতে পারলে কর বৃদ্ধি হয়। জিডিপি-র হার কতদূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় সে দিকেও লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানান তিনি। দেশের অন্যান্য রাজ্য কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করেছে, সে সব বিষয়াবলি জানতে পাঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড প্রভৃতি রাজ্যে গিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে তরুণ আধিকারিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰীয়ে।

তিনি বলেন, অসম আজ তড়িৎগতিতে বিকাশের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এর আগে বিকাশ এভাবে গতি লাভ করেনি। অসমের মানুষের মধ্যে অভ্যন্তরীণ শক্তি আছে। অথচ আমাদের এই শক্তি অপ্ৰয়োজনীয় কাজে লাগানো হচ্ছে। শক্তি যখন ইতিবাচক কাজে প্ৰয়োগ করা হয়, তখন সবকিছুই সম্ভব হয়। যুব প্ৰজন্মের আদিকারিকদের এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, বলেন মুখ্যমন্ত্ৰী। তিনি বলেন, ইতিবাচক মানদণ্ড ভবিষ্যত প্ৰজন্মের জন্য বজায় রাখার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।

আজকের কর ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্য বহুজনের মধ্যে ছিলেন, অর্থ দফতরের মন্ত্ৰী অজন্তা নেওগ, বিধায়ক অতুল বরা, বিশেষ মুখ্যসচিব ড. রবি কোটা, অর্থ দফতরের কমিশনার-সচিব জয়ন্ত নাৰ্লিকার, কর আয়ুক্ত পল্লব গোপাল ঝা প্ৰমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *