BRAKING NEWS

ভাসুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সহ স্বামী ও শাশুড়িকে নির্যাতনের মামলায় ফাঁসিয়ে দিল গৃহবধূ


নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৩ জুলাই৷৷ সভ্য আধুনিক সমাজে অর্থ-সম্পত্তির লোভের বশবর্তী হয়ে আর নিজের বেলাল্লাপনার জন্য একাংশ নারীরা কতটা নিচে নামতে পারে তার নিদর্শন আরো একবার স্থাপিত হল তেলিয়ামুড়াতে৷ আনুমানিক ১০-১২ বছর আগে আগরতলা রাজধানীর শ্যামলীমা দেববর্মা তেলিয়ামুড়া শহরের প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার সায়ন্ত দাসের সাথে ভালোবাসার সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে বৈবাহিক সম্পর্কে জড়িয়ে যায়৷ এরপর কিছুদিন ভালোভাবে কাটলেও ধীরে ধীরে ঝোলা থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করে লাস্যময়ী বেড়াল৷ তেলিয়ামুড়ার বনেদি এবং প্রতিষ্ঠিত শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে আগরতলার ভলকান ক্লাব সন্নিহিত ফ্ল্যাটে চলে যায় শ্যামলীমা৷ এর মধ্যে দু দুটি সন্তানের মা হলেও শ্যামলীমা এবং সায়ন্তের সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে অবনতির দিকে যেতে থাকে, একটা সময় শ্যামলীমা আর সায়ন্তের মধ্যে প্রায় কোন যোগাযোগই রইল না৷ সায়ন্তদের নিজস্ব ফ্ল্যাটেই শ্যামলিমা তার মা বাবা এবং দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতে শুরু করে৷ শ্যামলীমা এবং তার বাপ মায়ের দাবি অনুযায়ী সায়ন্ত প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা করে গুনে গুনে দিতে থাকে ভরণপোষণ হিসেবে৷ অভিযোগ এই টাকাসহ প্রতিপত্তিসালী বাড়ির সম্পত্তি দেখে মোহের বশবর্তী হয়ে একটা সময়ে ধরাকে সরা জ্ঞান করতেও দ্বিধাবোধ করতে শুরু করে শ্যামলীমা৷ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় যেখানে প্রতিষ্ঠিত ঠিকেদার সায়ন্ত নিজের সারাদিনের ব্যস্ততার পড়ে প্রতিদিন আগরতলায় নিজের ঔরসজাত সন্তানদের কাছে ছুটে গেলেও শ্যামলীমা তার কাছে বা তার সাথে থাকতে পছন্দ করত না, এর ফলে প্রতিদিন রাতেই আবার সায়ন্তকে তেলিয়ামুড়ায় ফিরে আসতে হত৷ ইদানিং পরিস্থিতি অন্যদিকে রূপ নেয়৷ হঠাৎ করে গত বুধবার শ্যামলীমা কাউকে কিছু না বলে নিজের শশুর বাড়িতে আসে এবং মিনিট দশেক অবস্থান করে নিজের ঘর থেকে বেশ কিছু স্বর্ণালংকার সহ কাপড়-চোপড় এবং কিছু কাগজপত্র নিয়ে আবার আগরতলায় ফিরে যায়৷ হঠাৎ করে ছোট ছেলের বউ কেন বাড়িতে আসলো, আর কেনই বা চলে গেল এ নিয়ে যখন বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে আলাপ আলোচনা চলছিল ঠিক এরই মাঝে শ্যামলীমা আগরতলায় গিয়ে স্বামী ,শাশুড়ি এবং ভাসুরের নামে মামলা করে বসে৷শ্যামলীমার এই অল্প সময়ের বাড়িতে অবস্থানকালে যেখানে তার ভাসুর বাড়িতেই ছিলেন না, পেশাগত কাজে আগরতলায় ছিলেন উনার নামে ধর্ষণ করার চেষ্টার অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, যে শাশুড়ির সাথে শ্যামলীমার ঐদিন দেখাই হয়নি সেই শাশুড়ি নাকি তাকে সিঁড়ির মধ্যে ফেলে মারার অভিযোগ উঠেছে এবং তার স্বামী যে কিনা বাথরুমে থাকাকালীন সময়েই তার স্ত্রী এসে আবার চলেও গিয়েছে মারধরের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে৷ এইভাবে তেলিয়ামুড়ার বিতর্ক হীন একটা প্রতিষ্ঠিত পরিবারের বিরুদ্ধে শ্যামলীমার ভূমিকাকে অনেকেই নানান ভাবে সমালোচনা করছেন৷ যদিও আইনের ধারা মোতাবেক এবং দায়েরকৃত মামলার রকম অনুযায়ী ইতিমধ্যে অভিযুক্ত স্বামী প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার সায়ন্ত পুলিশের হেফাজতে৷ পরস্পর শোনা যাচ্ছে মামলা করে স্বামীকে জেল হাজতে পাঠিয়েও অন্য খেলায় নামতে বসেছে শ্যামলীমা এবং তার কিছু পৃষ্ঠপোষক৷ ইতিমধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে কিছু বাড়তি পয়সা রুজি করা যায় কিনা সে ধান্দায় শ্যামলীমা অবতীর্ণ হয়েছে বলেও বিশ্বস্ত সূত্রে খবর৷ তেলিয়ামুড়া শহরজুড়ে কান পাতলেই সংশ্লিষ্ট পরিবারের সার্বিক বিষয় সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া যায়৷ সমস্ত ঘটনাবলী এবং সার্বিক অবস্থার নিরিখে এই বিষয়টা দিনের আলোকের মতো পরিষ্কার গোটা ঘটনাকে সাজানো হয়েছে, এবং এই ঘটনা যে আদতে শ্যামলীমার মত উশৃংখল মহিলাদের পয়সা হাতানোর একটা নমুনার দৃষ্টান্ত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *