BRAKING NEWS

চ্যু-কা-ফার সমন্বয়ের আদৰ্শে অসমের ভিত মজবুত করার আহ্বান মুখ্যমন্ত্ৰীর

ডিব্ৰুগড় (অসম), ৩১ জানুয়ারি (হি.স.) : চ্যু-কা-ফার সমন্বয়ের আদৰ্শ বলে অসমের ভিত মজবুত করার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। অসম সকারের সাংস্কৃতিক অধিকরণের উদ্যোগে এবং ডিব্ৰুগড় জেলা প্ৰশাসনের সহযোগিতায় আজ মঙ্গলবার নাহরকটিয়ার টিপাম দেওশালিতে কেন্দ্ৰীয়ভাবে আয়োজিত মে-ডাম্‌-মে-ফি (মে-ডাম্-মে-ফির পরিভাষায়, ‘মে’ অর্থ প্রার্থনা বা উপাসনা, ‘ডাম’ অর্থ মৃত এবং ‘ফি’-র অর্থ দেব বা ঈশ্বর) উপলক্ষ্যে আয়োজিত সমাবেশে এই আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্ৰী ড. হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা।

অসমের তাই-আহোম জনগোষ্ঠীর পবিত্র উৎসব মে-ডাম্‌-মে-ফির অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে অসমিয়াদের বৈশিষ্ট্যপূৰ্ণ চরিত্ৰ গঠন করে আহোম রাজত্ব যে বৰ্ণিল ইতিহাস গড়ে গিয়েছে তা জাতির কাছে পরম গৌরবের বিষয়। অসমিয়া মানুষের ভাষিক, সামাজিক, আধ্যাত্মিক জীবনধারায় প্রবাহিত অম্লান স্রোত আজ অসমিয়া জাতি প্ৰত্যয়দীপ্তভাবে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, আহোম ইতিহাসে চড়াইদেওয়ের পর টিপামের গুরুত্ব সৰ্বাধিক। অসমিয়া জাতির প্রাণ-প্ৰতিষ্ঠাতা স্বৰ্গদেও চাওল্যুং চ্যু-কা-ফার কৰ্মজীবনের সূচনা টিপামে হয়েছিল। তাই চ্যু-কা-ফার সমন্বয়ের আদৰ্শে বৃহৎ অসমের ভিত মজবুত করতে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্ৰী।

মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, চ্যু-কা-ফা অসমিয়াদের ভাষিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক স্বরূপ প্রদান করে ব্ৰহ্মপুত্ৰ উপত্যকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠীকে একত্ৰীকরণ করেছিলেন। লাচিত বরফুকন শৌৰ্য-বীৰ্যের প্ৰতীক ছিলেন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শরাইঘাটের যুদ্ধে লাচিত বরফুকনের নেতৃত্বে আহোম সেনার জয়লাভ কেবল অসমের সাৰ্বভৌমত্ব রাক্ষা হয়নি সমগ্ৰ দক্ষিণপূর্ব এশিয়াকে আগ্ৰাসী শক্তির কবল থেকে রাক্ষা করেছিলেন। অসম সরকার লাচিত বরফুকনের ৪০০ বছর জয়ন্তী নয়াদিল্লিত উদযাপন করার মাধ্যমে এতদিনে উত্তর-পূৰ্বাঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ লাচিতের বীরগাঁথা আজ সমগ্ৰ দেশের মানুষ জানতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলেন, বিশ্বঐতিহ্য ক্ষেত্র হিসেবে স্বীকৃতি লাভের পথে চড়াইদেওয়ের আহোম স্বৰ্গদেও মৈদামস্থল হিসেবে পা ফেলতে সক্ষম হয়েছে।

ড. শর্মা বলেন, টিপামের রাস্তা উন্নয়ন করার পাশাপাশি একে একটি আকৰ্ষণীয় পৰ্যটনস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে রাজ্য সরকার পদক্ষেপ গ্ৰহণ করবে। এই অঞ্চলের নবপ্রজন্ম যাতে ক্ৰীড়াক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারে, সেজন্য একটি হকি স্টেডিয়াম নিৰ্মাণ করা হবে বলে আজ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *