আগরতলা, ১৬ জানুয়ারি : গুজরাট মডেলেই প্রার্থী নির্ণয় হবে ত্রিপুরায়। বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। কারণ, বিশেষভাবে নজর দেওয়া জরুরী, অভ্যন্তরীণ সমীক্ষায় ত্রিপুরায় এমন ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্র চিহ্নিত করেছে বিজেপি। এক্ষেত্রে স্থানীয় মত সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। প্রার্থী বাছাই ওই ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে স্থানীয়রাই চূড়ান্ত করে দিয়েছেন। এক্ষেত্রে ত্রিপুরায় প্রার্থী নির্ণয়ে বড়সড় বদল দেখা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী তথা বরিষ্ঠ বিজেপি নেত্রী নির্মলা সীতারমন সাফ জানিয়েছেন, গুজরাটে সরকার বিরোধী হাওয়াই সরকার গঠনে সহায়ক ভূমিকা নিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় চল্লিশের অধিক নতুন প্রার্থীকে সুযোগ দেওয়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত আগামীদিনে ৯ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিফলিত হবে প্রশ্নের জবাবে তিনি মুচকি হেসে অপেক্ষা করতে বলেছেন। তাঁর এই বার্তা যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ বলেই মনে হয়েছে। কারণ, ওই রাজ্যগুলির মধ্যে ত্রিপুরাও রয়েছে।
বিজেপি সুত্রে খবর, ত্রিপুরায় ৬০টি বিধানসভা কেন্দ্রে অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা হয়েছে। দলের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রভারী সাংসদ ড. সম্বিত পাত্রা ওই সমীক্ষা করেছেন। তাতে, ১৫টি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সেখানে সঠিক প্রার্থী বাছাইয়ের প্রয়োজনীয়তা অধিকভাবে ফুটে উঠেছে। সূত্রের দাবি, ওই বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী বাছাইয়ে মন্ডল নেতৃত্বের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের থেকেও মতামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
সূত্রের কথায়, এমন বহু নেতা রয়েছেন দলের সম্ভাবনাকে ঝুঁকিতে ফেলেছেন। এক্ষেত্রে দল এবং জনগণের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপনে উদীয়মান নেতৃত্বের প্রতি ভরসা রাখতে রাইছে বিজেপি। কারণ, তেইশের বিধানসভা নির্বাচন বিজেপির কাছে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের সেমিফাইনাল। দেশের ৯টি রাজ্যে বিজয় লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এবং মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলবে, এমনটাই মনে করছে বিজেপি। ফলে, সমস্ত ঝুঁকি এড়িয়ে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচনে খুবই সতর্কভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পদক্ষেপ নেবে পদ্ম শিবির।ইতিমধ্যে প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রদেশ নেতৃবৃন্দ বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে আলোচনা করেছেন। রাজ্যের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিরও বর্ণনা দিয়েছেন। এরই প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে দিশা নির্দেশের আবেদন রাখা হয়েছে। নির্বাচনকে সবচেয়ে অগ্রাধিকারে রেখে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রয়োজনীয় দিশা নির্দেশ দেবেন, এমনটাই খবর সূত্রের।