BRAKING NEWS

কদমতলায় গেরুয়া ঝড় ৩৪০০ ভোটার বিজেপিতে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ ডিসেম্বর৷৷  বুধবার উত্তর জেলা সদর ধর্মনগরে নেতাজী মূর্তির পাদদেশে ওবিসি মোর্চার উদ্যোগে বিজেপি দলের এক জনসভা এবং যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ এ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্য, মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, রাজ্য বিসি মোর্চার সভাপতি সমির রঞ্জন ঘোষ, যুবরাজ নগরের বিধায়ক বলিনা দেবনাথ, ধর্মনগর পুর পরিষদের চেয়ারপারসন প্রদ্যুৎ দে সরকার ছাড়া ওবিসি মোর্চার বিভিন্ন কর্মকর্তারা৷
এই সভায় স্বপন তালুকদারের নেতৃত্বে ৪৮৬ পরিবারের ৩৪০০ ভোটার কংগ্রেস এবং সিপিএম দল ত্যাগ করে গেরুয়া শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করে৷ প্রদেশ বিজেপি সভাপতি জানান আগামী পাঁচই জানুয়ারি ত্রিপুরা রাজ্যে দুটি রথ যাত্রা শুরু করবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে৷ তার মধ্যে একটি  কুর্তি কদমতলা থেকে যাত্রা শুরু করবে এবং অপরটি সাব্রুম থেকে৷ ১২ জানুয়ারি দুটি রথ আগরতলায় মিলিত হবে৷ এই রোড থেকে ঘোষণা হবে যে আগামী ২০২৩ এর নির্বাচনে বিজেপি অপ্রতিরোধ্য ভাবে এ রাজ্যে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হবে৷ তিনি বলেন ২০২৩ এর নির্বাচনে অসুর রুপিনী কমিউনিস্টকে মানুষ চিরতরে মুছে দেবে৷ কমিউনিস্ট এবং কংগ্রেস মিলে প্রেমপত্র জারি করে মানুষকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলছে৷ কিন্তু বাম শাসনে শুধুমাত্র সন্ত্রাস আর খুন সর্বত্র বিরাজ করেছে তাদের মুখে গণতন্ত্র কথা মানায় না৷ সন্ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে বামফ্রন্টের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিমল সিনহাকে কেবা কারা খুন করেছে এখনো তা কেউ বলতে পারেনি৷ কংগ্রেসের বিধায়ক মধুসূদন সাহাকে খুন করা হয়েছিল সে কমিউনিস্ট শাসনে৷ সদরের এস ডি এম শুকলাল দেববর্মাকে চেম্বারে ঢুকে কে বা কারা খুন করেছিল এখনো তা কেও বলতে পারেনি, রিতা পালকে ধর্ষণ করে নৃশংস ভাবে হত্যা করেছিল কমিউনিস্ট শাসনে৷ তারপর আবার কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা প্রেমপত্র জারি করে বড় বড় কথা বলে৷ এই রাজ্যে বিজেপি দল ছাড়া আর কোন বিকল্প দল থাকবে না তা ২৩ এর নির্বাচনে পরিষ্কার হয়ে যাবে৷ তিনি বিজেপির পরিচালিত সরকারের সময়ে পাঁচ বছরে একটিও রাজনৈতিক খুন হয়নি বলে উল্লেখ করে৷ রাজ্যের মানুষের স্বার্থে এই রাজ্যে বিজেপি ছাড়া অন্য কোন দল আর বিকল্প হতে পারে না বলে উল্লেখ করেন৷
রাজ্যের তথ্য ও সংসৃকতি ও ক্রীড়া মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন লাঞ্ছিত বঞ্চিত আমলে রাজ্যের অসংখ্য মানুষ খুন হয়েছে৷ বাড়ি ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে৷ কিভাবে সবকা বিকাশ একেবারে নিঠুর স্তর থেকে শুরু করে উঁচু স্তর পর্যন্ত করা যায় তা একমাত্র বিজেপি সরকার ই করে দেখাচ্ছে৷ এ সরকার সবার উপকার করতে পারে৷ রাজ্যের মানুষ ২৫ বছরের পিছিয়ে পড়া রাজনীতি আর আনতে চায় না ২০১৮ তে মোদি সরকার ত্রিপুরাকে মুক্ত করেছিল এক সন্ত্রাসের রাজত্ব থেকে৷ এখন সিপিএম কংগ্রেস পাশাপাশি হয়ে যেভাবে রাজ্যের বিজেপি সরকারের সমালোচনা করছে তাকে তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানান৷ সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন গতকাল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী যে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত দিয়েছে একসাথে ১২ শতাং মহার্ঘ মহার্ঘ ভাতা প্রদান তা কমিউনিস্ট শাসনে কখনো ভাবা যায়নি৷ রাজ্যে এই সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর প্রথমে পাঁচ শতাংশ তারপর আবার ৩ শতাংশ আর এখন একসাথে বারো শতাংশ অর্থাৎ কর্মচারীদের কুড়ি শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান করেছে রাজ্যের বর্তমান সরকার৷ ২০১৮ নির্বাচন ত্রিপুরায় মানুষকে সন্ত্রাসী কমিউনিস্টদের থেকে মুক্ত করার কথা বলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি৷ এবার ২০২৩ এর নির্বাচন এই রাজ্যের মানুষকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার লড়াই৷ কংগ্রেসকে শিখন্ডী বানিয়ে কমিউনিস্টরা রাজ্যে ক্ষমতা দখলের জন্য চক্রান্ত চালাচ্ছে৷ রাজ্যের গণতন্ত্রের প্রেমী মানুষরা এই চক্রান্তে পা ফেলবে না৷ পুনরায় এই রাজ্যে যে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে তার জন্য বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিতে উপস্থিত জনতার প্রতি আহ্বান জানান৷ সকালের ট্রেনে করে বিজেপির এই প্রতিনিধি দল ধর্মনগরে এসেছিল সভা শেষ করে শেষ ট্রেনে তারা পুনরায় আগরতলার উদ্দেশ্যে পাড়ি দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *