BRAKING NEWS

মান্দাইয়ে চাল গুদাম ও কৃষি জ্ঞানার্জন কেন্দ্র উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন না হলে সমাজ বা দেশ উন্নয়ন মুখী হতে পারে না

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্য সরকার প্রতিটি কৃষি মহকুমায় আধুনিক কৃষি পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ করছে৷ ভারতবর্ষ হল কষি প্রধান দেশ৷ কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন না হলে সমাজ বা দেশ উন্নয়ন মুখী হতে পারে না৷ আজ মান্দাই ব্লকের বোরাখায় ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন নবনির্মিত চাল গুদাম ও নবনির্মিত কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র এবং মান্দাইয়ে কৃষক বন্ধ কেন্দ্রের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা৷ উল্লেখ্য, গ্রামীণ পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে নবনির্মিত ১ হাজার মেট্রিকটন ক্ষমতাসম্পন্ন চাল গুদাম নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা৷ জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের আর্থিক সহায়তায় নবনির্মিত কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা৷ মান্দাইয়ে গৌরমনি স্টেডিয়াম সংলগ নবনির্মিত কৃষক বন্ধ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকা৷  
এ উপলক্ষে আজ মান্দাই গৌরমনি স্টেডিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যে সার্বিক উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সব সময় চিন্তা ভাবনা করেন কিভাবে দেশের কৃষকদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা যায়৷ তাঁর মার্গ দর্শনে রাজ্যেও কৃষকদের উন্নতির জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে কৃষি দপ্তর৷ তিনি দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন, কোভিডের সময় অনেক উন্নত দেশের জিডিপি হাস পেয়েছে৷ কিন্তু ভারতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন কাজের জন্য জিডিপি হাস পায়নি৷ তিনি বলেন, রাজ্যের প্রতিটি দপ্তর জনগণের কাছে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করে চলেছে৷ রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পগুলি যাতে একশ শতাংশ জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় তার জন্য সরকার প্রতি ঘরে সুুশাসন অভিযান বাস্তবায়িত করেছে৷ এই অভিযানের মাধ্যমে গ্রামস্তর থেকে শুরু করে জেলাস্তর পর্যন্ত সভা, শিবির করা হয়েছে৷ যাতে করে সমাজের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত উপকৃত হয়৷ সরকার কথায় বিশ্বাস করে না, কাজে বিশ্বাস করে৷ রাজ্যের জাতি জনজাতির মৈত্রীর বন্ধন আরও সুুদৃঢ় করে রাজ্যকে উন্নয়নের পথে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানান৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে একটি স্বচ্ছ প্রশাসন চলছে৷ রাজ্য সরকার বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে রূপায়ণ করছে৷ সামাজিক ভাতা দুই হাজার টাকা করা হয়েছে৷ শিল্পের অগ্রগতিতেও রাজ্য সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে৷  
অনুষ্ঠানে কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় বলেন, রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকদের জন্য উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে৷ যাতে করে কৃষকরা তাদের রোজগার বৃদ্ধি করতে পারে৷ কৃষকদের আধুনিক যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে সার, বীজ দেওয়া হচ্ছে৷
পাশাপাশি কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পায় তার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে৷ সরকার ন্যনতম সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে৷ তিনি বলেন, শুধু যন্ত্রপাতি দিলেই হবে না, কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতিটি কৃষি মহকুমায় কৃষক বন্ধ কেন্দ্র, কৃষক জ্ঞানার্জন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে৷
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়৷ উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি অন্তরা সরকার দেব, বিধায়ক বীরেন্দ্র দেববর্মা, কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দ দাস, উদ্যান পালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ড. ফনীভূষণ জমাতিয়া, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলাশাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, সমাজসেবী অসিত রায় প্রমুখ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *