BRAKING NEWS

রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় ৩ লক্ষ ৯২ হাজার পরিবারকে ফল চাষে সহায়তা দেওয়া হয়েছে ঃ সচিব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ ডিসেম্বর৷৷ ফল ও সব্জি চাষের মাধ্যমে রাজ্যের ক’ষকদের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তর বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করে যাচ্ছে৷ পাশাপাশি ফল ও সব্জির চাহিদা মেটাতে বহির্রাজ্যের উপর নির্ভরতা কমাতে দপ্তর বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে৷ আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে ক’ষি ও ক’ষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায় উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরে একথা জানান৷ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় ২০২১-২২ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৯২ হাজার পরিবারকে ফল চাষে সহায়তা দেওয়া হয়েছে৷ তাছাড়াও ৪ লক্ষ পরিবারকে সব্জি চাষের জন্য বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিতরণ করা হয়েছে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের সাফল্যের চিত্র তুলে ধরে ক’ষি দপ্তরের সচিব জানান, ফুল চাষের মাধ্যমে রাজ্যের গ্রামীণ এলাকার পরিবারগুলিকে আর্থিকভাবে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে মুখ্যমন্ত্রী পুপ উদ্যান প্রকল্প রূপায়ণ করা হচ্ছে৷ এই প্রকল্পে ২০২১-২২ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের এখন পর্যন্ত ৮৭৪ হেক্টর এলাকাকে ফুল চাষের আওতায় আনা হয়েছে৷ মাশরুম চাষীদের মাশরুম বীজের অভাব দূর করার জন্য এখন পর্যন্ত রাজ্যে ৮টি মাশরুম বীজ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে৷ এই কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত মোট ১ লক্ষ ৯৪ হাজার ৮৬৬ টি মাশরুম বীজের প্যাকেট তৈরি করা হয়েছে৷ সচিব জানান, রাজ্যের বিখ্যাত আনারসকে দেশ-বিদেশের বাজারে বাজারজাতকরণের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর একটি ভিজ্যয়াল ডিজিটাল লোগোর উদ্বোধন করা হয়েছে৷ বিগত সাড়ে চার বছরে মোট ১০০১৫.৩৮ মেট্রিক টন আনারস দেশের বিভিন্ন রাজ্য সহ দুবাই, কাতারে রপ্তানি করা হয়েছে৷ এছাড়াও অন্যান্য উদ্যানজাত ফসলের মধ্যে আপেল, তেঁতুল, পান পাতা, কাঠাঁল, সুুগন্ধি লেবু ইত্যাদি বাংলাদেশ, জার্মানি, ইংল্যাণ্ড ও দুবাই রপ্তানী করা হয়েছে৷ তিনি জানান, রাজ্যে ৫৩০ হেক্টর জমিতে পাম অয়েল চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে দপ্তর৷ এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যেই ৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা প্রদান করেছে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে ক’ষি দপ্তরের সচিব জানান, রাজ্যে টিস্য কালচার প্রযুক্তির মাধ্যমে বছরে ৫০ হাজার সবরি কলার চারা উৎপাদনের জন্য তামিলনাড়র তিরুচেরাপল্লীস্থিত জাতীয় কলা গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের একটি মৌ স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ রাজ্যের ক’ষকদের উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষিত রাখার জন্য চলতি বছরের নভেম্বরের ২৪ তারিখ গোলাঘাটিতে একটি পোস্ট হার্ভেস্ট সেন্টার এবং একটি গ্রামীণ সংগ্রহ কেন্দ্রের উদ্ধোধন করা হয়েছে৷ রাজ্যের ১৫,৩৬৮ হেক্টর এলাকা হাইবিড সব্জি চাষের আওতায় আনা হয়েছে৷ এরফলে ৭৬,৮৪০ জন ক’ষক উপক’ত হয়েছেন৷ এছাড়াও ৯,৪৪৬ হেক্টর জমি ফল চাষের এবং ৯১৯ হেক্টর জমি মশলা চাষের আওতায় আনা হয়েছে৷ কোভিড অতিমারির সময়ে রাজ্যের ৬৯৩ জন ক্ষতিগ্রস্ত ফুলচাষীকে মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ২০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে বলে সচিব সাংবাদিক সম্মেলনে জানান৷ সাংবাদিক সম্মেলনে উদ্যানপালন ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা ফণিভূষন জমাতিয়া উপস্থিত ছিলেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *