BRAKING NEWS

সঙ্গী সস্ত্রীক ফিরহাদ, ব্রহ্মা মন্দিরে মমতা, জানালেন গঙ্গাসাগরে আসার আমন্ত্রণ

জয়পুর (রাজস্থান), ৬ ডিসেম্বর (হি. স.) : অজমের শরিফের পর এবার রাজস্থানে পুষ্করের মন্দিরে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লি রওনা দিয়েছিলেন একদিন আগেই। তারই মধ্যে মঙ্গলবার দুপুরে রাজস্থান উড়ে গেলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সেখানে অজমের শরিফে পৌঁছন প্রথমে। তার পর পৌঁছন পুষ্করের মন্দিরে। সেখানে তাঁর সঙ্গী হন বাংলার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও তাঁর স্ত্রী।

অজমেরে যে দু’টি গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্রে রয়েছে, তার মধ্যে একটি হল অজমেঢ় শরিফ এবং অন্যটি হল পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দির। দুই জায়গাতেই যাওয়ার ইচ্ছে অনেক দিনে বলে জানিয়েছিলেন মমতা। প্রতিদিন হাজার হাজার পুণ্যার্থী ভিড় করেন দুই জায়গায়। এ দিন দিল্লি থেকে রাজস্থান পৌঁছে প্রথমে অজমেঢ় শরিফে যান মমতা। সেখানে তাঁর সঙ্গে হন ফিরহাদ হাকিমও। ফুল, ধূপ, চাদর মাথায় করে মাজার শরিফে মমতার সঙ্গে ঢোকেন ফিরহাদ।

এর পর সেখান থেকে পুষ্করের ব্রহ্মা মন্দিরের উদ্দেশে রওনা দেন মমতা। সেখানে পৌঁছে পুজো দেন তিনি। আরতি করেন নিজেহাতে। প্রার্থনা করেন হাতজোড় করে। মন্দিরে প্রধান পুরোহিতকে শাল উপহার দেন তিনি। গঙ্গাসাগর মেলায় আসার জন্য আমন্ত্রণও জানান। জানান, আগের থেকে এখনকার গঙ্গাসাগরের চেহারা বিস্তর পাল্টে গিয়েছে।

দেশের একমাত্র মন্দির পুষ্করে, যেখানে বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা বলে হিন্দুধর্মে বর্ণিত ব্রহ্মার আরাধনা হয়। এই মন্দিরকে বলা হয় মন্দিরেশ্বর। এর পাশাপাশি পুষ্কর সরোবরকে ঘিরে রয়েছে কমবেশি ৫০০টি মন্দির। সরোবরটি পবিত্র বলে পরিগণিত হয়। সরোবরের জলে ডুব দিলে পাপস্খলন হয় বলে বিশ্বাস পুণ্যার্থীদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *