আহমেদাবাদ, ১ ডিসেম্বর (হি.স.): গণতন্ত্রের উৎসবে মেতে উঠেছে গুজরাট। বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে গুজরাটে শুরু হয়েছে গণতন্ত্রের উৎসব। মানুষের মধ্যেও উৎসাহ তুঙ্গে, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আবার সকাল সকাল নিজেদের ভোট দিয়েছেন হেভিওয়েটরা। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে গুজরাটের কচ্ছ, সৌরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ গুজরাটের ৮৯ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম এক ঘন্টায় অর্থাৎ সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪.৯২ শতাংশ। গুজরাটের জনগণকে বিপুল পরিমানে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও আম আদমি পার্টির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
নভসারির একটি পোলিং বুথে ভোট দিয়েছেন মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল মঙ্গুভাই প্যাটেল ও তাঁর স্ত্রী। সুরাটের একটি বুথে ভোট দিয়েছেন গুজরাটের মন্ত্রী পূর্নেশ মোদী, রাজকোটের বুথে ভোট দিয়েছেন ক্রিক্রেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী ও বিজেপি প্রার্থী রিভাবা জাদেজা। রিভাবা বলেছেন, “একই পরিবারে ভিন্ন মতাদর্শের মানুষ থাকতে পারে। আমি জামনগরের জনগণের উপর আস্থা রেখেছি, আমরা সার্বিক উন্নয়নে মনোযোগ দেব।” গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি এদিন বলেছেন, “গণতন্ত্র রক্ষায় ভোট প্রয়োজন। আমি নিশ্চিত যে বিজেপি সপ্তমবার গুজরাটে সরকার গঠন করতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা আছে, তারা আর কোথাও যাবেন না।” এদিন সকালে রাজকোটের একটি পোলিং বুথে ভোট দিয়েছেন বিজয় রূপানি ও তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি রূপানি। সুরাটে এদিন সকালে ভোট দিয়েছেন গুজরাট বিজেপির রাজ্য সভাপতি সি আর পাটিল। তিনি বলেছেন, মোদী ম্যাজিক সর্বদা কাজ করে।
উল্লেখ্য, প্রথম দফার উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজার স্ত্রী রিভাবা (জামনগর-উত্তর, বিজেপি), প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পরেশ ধনানী (অমরেলী, কংগ্রেস), ‘গডমাদার’ সন্তোকবেনের ছেলে তথা ‘বাহুবলী’ বিদায়ী বিধায়ক কন্ধাল জাদেজা (কুটিয়ানা) এবং আম আদমি পার্টি (আপ)-র ‘মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তথা টিভি সঞ্চালক ইসুদান (খম্বালিয়া)। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটে এই ৮৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ৪৮টি আসনে জিতেছিল। কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা জিতেছিল ৪০টিতে। পরে কয়েক জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এ বার ভোটের লড়াই ত্রিমুখী। কংগ্রেস এবং বিজেপির পাশাপাশি রয়েছে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের দল আপ।