BRAKING NEWS

অসম–মিজোরামের সীমাবিবাদ হস্তপেক্ষ করুক কেন্দ্র : বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়

শিলচর (অসম), ২৪ নভেম্বর (হি.স.) : অসম মিজোরাম সীমান্তে সাম্প্রতিক উদ্ভুত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আসামের সীমাবিবাদ সমাধানে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তপেক্ষ করতে আহ্বান জানালেন বিডিএফ মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়।

আজ বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে, মেঘালয় , মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল প্রদেশ সমস্ত রাজ্যই একসময় অসমের অন্তর্ভুক্ত ছিল, কিন্তু একেএকে অসম থেকে বেরিয়ে গেছে । কিন্তু তারপরও অসমের সঙ্গে প্রত্যেকটি রাজ্যের সীমাবিবাদ থামছে না এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর কার্যকালে আরও বেড়েছে । তাঁর প্রশ্ন এর কারণ কি ?

তিনি বলেন, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী পার্শবর্তী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে প্রায়ই এই ব্যাপারে যৌথ সভা করেন এবং তারপর সমস্যা সমাধান হয়ে গেছে বলে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতিও দেওয়া হয় । কিন্তু কার্যক্ষেত্রে যে এসব নিষ্ফলা থেকে যায় সাম্প্রতিক ঘটনাই তার প্রমান। তিনি বলেন এর আগে বরাকের মিজোরাম সীমান্তে মিজোরাম পুলিশের আগ্রাসনের বলি হয়েছেন অসমের ছয়জন পুলিশ কর্মী। সাম্প্রতিক ঘটনায়ও অসমের একজন বনকর্মীর মৃত্যু হয়েছে । অথচ দোষীদের শাস্তি তো দূরস্থান উল্টে মেঘালয় সীমান্তের ঘটনাকে পুলিশি আতিসয্য বলে পুলিশ আধিকারিকদের দোষারোপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী-এর চেয়ে দুঃখজনক আর কি হতে পারে ?

প্রদীপবাবু বলেন, আজ লাচিত দিবস । সমগ্র উত্তর পুর্বের সংস্কৃতি ও স্বকীয়তা রক্ষায় লাচিত বরফুকনের লড়াইকে গতকাল স্মরণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী । অথচ অসম এবং দিল্লি ছাড়া উত্তর পুর্বের কোন রাজ্যে বীর লাচিতের ৪০০ তম জন্মোৎসব পালিত হচ্ছে বলে কোন খবর নেই। তিনি আরও বলেন নেডার আহ্বায়ক থাকা সত্ত্বেও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অসমের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছেন । মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির নির্বাচনী প্রচার করছেন, নিজেকে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছেন অথচ নিজের রাজ্যের জনগনকে সুরক্ষা দিতে পারছেন না এর চেয়ে আশ্চর্যজনক আর কিছু হতে পারেনা।

প্রদীপ দত্তরায় বলেন যে, সাম্প্রতিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে তারা অসমের সীমাবিবাদের স্থায়ী সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে একটি সর্বদলীয় যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন করার আর্জি জানাচ্ছেন। তার বক্তব্য কেন অসমের সাথেই বারবার সীমাবিবাদ হচ্ছে তা এই কমিটি খতিয়ে দেখুক এবং চিরস্থায়ী প্রতিবিধানের জন্য কি করা উচিত সেই ব্যাপারে প্রস্তাব পেশ করুক। তাহলেই একমাত্র রাজ্যের জনগন সুরক্ষিত হতে পারেন বলে মন্তব্য করেন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *