BRAKING NEWS

প্রস্তুতি ছিলই, ছিল বুকভরা আশা, কেউ মেনে নিতে পারছেন না ঐন্দ্রিলার প্রয়াণ

কলকাতা, ২০ নভেম্বর (হি.স.) : “এত আনন্দ আয়োজন, সবই বৃথা আমায় ছাড়া ..

ভরে থাকুক আমার মুঠো, দুই চোখে থাকুক ধারা ..
এল সময় রাজার মতো, হলো কাজের হিসেব সারা!”

আবেগের এই কথাগুলো রবিবার যেন অনুরণিত হল সবার বুকে। ঐন্দ্রিলার প্রয়াণে বাকরুদ্ধ আমজনতা। পরস্পরের দুঃখ-ব্যথা যেন সকলেই ভাগ করে নিতে চান। এই চলে যাওয়া একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ। সামাজিক মাধ্যমের দেওয়াল ভরে উঠেছে হরেক প্রতিক্রিয়ায়।

অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত লিখেছেন, “ঐন্দ্রিলা, কেন এত তাড়াতাড়ি চলে গেলে?

তুমি তো যোদ্ধা ছিলে তুমি কেন চলে গেলে? You were supposed to come back! a winner…!!
ওর লড়াই … এক দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো।”

‘#ইন্দ্রলোকে ঐন্দ্রিলা’ শিরোনামে উল্টোডাঙা গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড গার্লস হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা রীনা দত্ত বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, “আরও একবার অনুভব করলাম মৃত্যুর কাছে মানুষ কতো অসহায়! শিখলাম আরও একটা সত্য ,মানুষ শুধু লড়াই করতে পারে আর সে লড়াই সবসময় জয় আনে না। তাই বলে কি লড়াই ছেড়ে দেব? না—তাহলে ঐন্দ্রিলার মত মানুষের লড়াইটা বৃথা হয়ে যাবে৷ চেষ্টা করতে হবে শেষ পর্যন্ত, দেখিয়ে দিয়ে গেল সে৷ চব্বিশ বছরের সংক্ষিপ্ত জীবন,ভেঙে পড়া,হেরে যাওয়া মানুষদের কাছে লড়াই এর সংজ্ঞাটা নতুন করে লিখে গেল। চেনা অচেনা অসংখ্য মানুষকে কাছে টেনে ভালোবাসায় ভাসিয়ে দিয়ে গেল।

না—ঐন্দ্রিলার আত্মার শান্তি কামনা করতে পারব না। ও আমার মত, আমাদের মত অসংখ্য মানুষের চেতনায় লড়াই এর প্রতীক হয়ে চিরজীবি হয়ে থাক।”
ডিজিটাল ক্রিয়েটার মহুয়া চ্যাটার্জী লিখেছেন, “ঐন্দ্রিলা, তোমার হাসিমুখটাই থাক আমাদের মনে …
অনেক অনেক ভালোবাসা নিয়ে যাও;

মেঘপরী হয়ে উড়ে আকাশের কোণে,
জীবনের ওপারে শান্তিতে ঘুমাও।— মহুয়া।”

অভিনেত্রী-পরিচালিকা-সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জীর ছবি দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “শান্তির দেশে ভালো থেকো ঐন্দ্রিলা (১৯৯৭-২০২২)”। একটি সঙ্গীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষা রিম্পা ঘোষ লিখেছেন, “শুধু মনের মিল থাকলেই ভালোবাসা পূর্ণতা পায় না, ভালোবাসা পূর্ণতা পেতে গেলে ভাগ্য লাগে। এই সত্যটা আবার প্রমানিত হলো উদাহরণ হয়ে আমাদের সবার কাছে। যেখানে থাকবে ভালো থাকবেন।“

একটি স্কুলের শিক্ষিকা, প্রাক্তন সাংবাদিক রিয়া সেন দত্ত লিখেছেন, “তুমি যোদ্ধা,

তুমি আমাদের অপরিচিত হয়েও ঘরের মেয়ে,
তুমিই নিরুপমা,

তোমার ভালোবাসায় স্নাত সেই মন,
যার পবিত্রতা স্নিগ্ধ করেছে তোমাদের জীবন,,

ভালো থেকো ঐন্দ্রিলা,,,,”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *