BRAKING NEWS

মহারাসলীলা উৎসব আমাদের ঐতিহ্যএর ধারাকে বজায় রাখতে হবে : খাদ্যমন্ত্রী

আগরতলা, ৫ নভেম্বর৷৷  মেলা মানেই মানুষের মেল বন্ধন৷ আর উৎসব সেই মেল বন্ধনের যোগসূত্র৷ সহজ, সরল, ধর্মপ্রাণ এই বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরীদের রাসলীলা উৎসব আমাদের ঐতিহ্য৷ এই ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংসৃকতির ধারাকে অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে৷ গতকাল সন্ধ্যায় কমলপুরের বড়লুতমায় বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরী ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, তথ্য ও সংসৃকতি দপ্তর এবং ধলাই জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১২৬তম মহারাসলীলা উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করে এই কথাগুলি বলেন খাদ্য ও জনসংভরণ এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব৷ বিমল সিংহ স্মৃতি মঞ্চে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধলাই জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি অনাদি সরকার, সালেমা বিএসি’র চেয়ারম্যান বিমল দেববর্মা, দুর্গাচৌমুহনী পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস পাল, কমলপুর নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন প্রশান্ত সিনহা৷ স্বাগত ভাষণ রাখেন কমলপুর মহকুমার মহকুমা শাসক কার্যালয়ের ডিসিএম নবারুণ চক্রবর্তী৷ পাঁচদিনব্যাপী উৎসব ও মেলা চলবে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত৷ ৮ নভেম্বর ত্রয়ো মন্ডপে আয়োজিত হবে রাসলীলা৷ রাসলীলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা৷ উপস্থিত থাকবেন উপমুখ্যমন্তন্তর্রী যিষ্ণু দেববর্মা৷ উদ্বোধকের ভাষণে খাদ্যমন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব বলেন, ১২৬ বছর পুরনো মেলার স্মৃতিকে ধরে রাখার উদ্যোগ নিতে হবে৷ এইজন্য শুরু থেকে যারা এই উৎসব ও মেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদের অতীতকে বর্তমান প্রজন্মের কাছে উপস্থিত করতে হবে৷ তিনি আরও বলেন, সরকার রাসলীলা উৎসব ও মেলার সর্বাঙ্গীন বিকাশে আন্তরিক৷ তাই আগামীদিনে বড়লুতমার এই মেলাকে সম্পূর্ণরূপে সরকারি উদ্যোগে আয়োজন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে৷ মেলায় পাঁচদিন রাজ্য ও বহির্রাজ্যের শিল্পীদের দ্বারা পরিবেশিত হবে সাংসৃকতিক অনুষ্ঠান৷ উদ্বোধনের পর খাদ্যমন্ত্রী অতিথিদের নিয়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রদর্শনী স্টল ঘুরে দেখেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *