করিমগঞ্জ (অসম), ১১ অক্টোবর (হি.স.) : করিমগঞ্জ জেলা কংগ্রেসের উদ্যোগে জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ে রাজ্যের টানা তিনবারের প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের ৮৯-তম জন্মবার্ষিকী সাড়ম্বরে পালিত হয়। প্রথমে কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ প্রয়াত নেতা তরুণ গগৈয়ের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। পরে জেলা কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তীর পৌরোহিত্যে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বক্তা প্রয়াত নেতার বর্ণময় দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
শহর ব্লক কংগ্রেস সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ তাঁর বক্তব্যে তরুণ গগৈয়ের রাজনৈতিক জীবন অত্যন্ত বর্ণময় বলে উল্লেখ করেন। রাজ্যের ক্ষমতায় আসার আগে অগপ সরকারের সময় অসমের অবস্থা অত্যন্ত দুর্বিসহ ছিল। বরাক উপত্যকার মানুষ ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় যেতে ভয় পেতেন। তাছাড়া রাজ্যের শিক্ষক কর্মচারীদেরকে কোনও দোকানদার বাকিতে সামগ্রী দিতেন না, যেহেতু যথাসময়ে তাঁদের মাসোহারা প্রদান করা হত না। এহেন পরিস্থিতিতে তরুণ গগৈ শক্ত হাতে রাজ্যের হাল ধরে সার্বিক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনেন বলে দাবি করেন তাপসবাবু।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি রজত চক্রবর্তী তাঁর বক্তব্যে বলেন, অসমের ইতিহাসে তরুণ গগৈ একজন সফল মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি দলমতের ঊর্ধ্বে ওঠে কাজ করতেন। বর্তমানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ছিলেন উনারই একান্ত অনুগত শিষ্য। হিমন্তবিশ্ব শর্মা হচ্ছেন তরুণ গগৈয়ের হাতেগড়া শিষ্য। রজতবাবু আরও বলেন, প্রয়াত প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আমলেই রাজ্যে প্রথমবারের মতো টেট–এর মাধ্যমে হাজার হাজার বেকার যুবক-যুবতী কর্মসংস্থান লাভ করেছেন। বর্তমান রাজ্য সরকার নতুন করে কোনও প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেনি, তরুণ গগৈয়ের আমলের প্রকল্পগুলোর কিছুটা নাম পরিবর্তন করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান বিজেপি সরকার।
রজতবাবু আরও বলেন, তরুণ গগৈ ছিলেন একজন খাঁটি কংগ্রেস কর্মী তথা নেতা। তাঁর মতো নেতার আজ যথেষ্ট অভাব। তিনি ছিলেন প্রকৃত একজন ধর্মনিরপেক্ষ নেতা। আজকের স্মরণসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন জেলা যুব কংগ্রেস সভাপতি মান্না হাসান, প্রদীপ গোয়ালা, মওলানা আব্দুল ওয়ারিস, জেলা পরিষদ সদস্য হাজি আব্দুল শুকুর, বজলুল হক চৌধুরী, নবেন্দু শর্মা পুরকায়স্থ, শংকর মালাকর প্রমুখ।