নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৪ সেপ্টেম্বর : দীর্ঘ দিন ধরেই যাতায়াতের কেবলমাত্র রাস্তাটি খানে খানে মরণ ফাঁদে পরিণত রয়েছে৷ এই বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধে বসলো স্থানীয় গ্রামবাসীরা৷ ঘটনা বুধবার তেলিয়ামুড়া থানাধীন হাওয়াই বাড়ি নাকা পয়েন্ট সংলগ্ণ এলাকায় আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে৷ জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে রাস্তার দুপাশে আটকে পড়ে বিপুল সংখ্যক ছোট বড় যানবাহন৷
জানা যায়, আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত হাওয়াইবাড়ি থেকে তারাচাঁন যাওয়ার যে বিকল্প রাস্তাটি রয়েছে সে রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে বুধবার সকাল ৯ টা থেকে হাওয়াইবাড়ি এলাকায় আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধে বসে স্থানীয় বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজনেরা৷ বেহাল দশাগ্রস্থ এই রাস্তাটি ধরে তারাচাঁন, ধনচাকমা সহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে৷ এদিন তারাচাঁন, ধনচাকমা সহ আরো বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন সম্মিলিত ভাবে এই রাস্তাটির সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধে বসে৷ জাতীয় সড়ক অবরোধের ফলে রাস্তার দুপাশে আটকে পড়ে বিপুল সংখ্যক ছোট বড় যানবাহন৷ জাতীয় সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়া সহ তেলিয়ামুড়া থানার বিশাল পুলিশ ও টি.এস.আর বাহিনী৷
জাতীয় সড়ক অবরোধে বসা গ্রামবাসীদের অভিযোগ, দীর্ঘ বছর ধরে হাওয়াইবাড়ি থেকে তারাচাঁন যাওয়ার বিকল্প এই রাস্তাটি বেহাল দশা গ্রস্থ অবস্থায় পড়ে রয়েছে৷ রাস্তার কিছুটা অংশ পিচের তৈরি থাকলেও অধিকাংশই এখনো ইটের সলিং এবং বর্তমানে এই রাস্তাটি খুবই বেহাল ও ভগ্ণ দশা গ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে৷ যার ফলে অসুস্থ রোগী, সুকল-কলেজে পড়ুয়ার ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষজনদের যাতায়াত করতেও দর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে৷ তাই বাধ্য হয়ে এই রাস্তাটির সংস্কারের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধে বসেছে তারা৷
দীর্ঘ সময় জাতীয় সড়ক অবরোধ চলার পর অবরোধস্থলে উপস্থিত হয় তেলিয়ামুড়ার ডিসিএম অঞ্জন দাস এবং অবরোধস্থলে উপস্থিত হয়ে ডিসিএম দফায় দফায় অবরোধকারীদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত করার জন্য৷ পরবর্তীতে এক মাসের মধ্যে এই রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেয় ডিসিএম অঞ্জন দাসের এই আশ্বাসমূলে দীর্ঘ প্রায় ৩ ঘন্টা পর জাতীয় সড়ক অবরোধ মুক্ত করে অবরোধকারীরা৷