নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিরবাজার, ১৪ সেপ্টেম্বর : শান্তিরবাজার মহকুমার দুর্পাবাড়ী এডিসি ভিলেজে ব্রু রিফিউজি সেটেলমন্টের জায়গা পরিদর্শনে বাধা দিলেন এলাকাবাসী৷ ঘটনার বিবরণে জানা যায় কাঞ্চনপুরের ব্রু শরনার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জায়গা নির্ধারিত করা হয়েছে৷ এরই মধ্যে শান্তির বাজার মহকুমার দূর্পাবাড়ী এডিসি ভিলেজে ব্রু সেটেলমেন্টের জন্য ৩০ হেক্টর জায়গা নির্ধারিত করা হয়েছে৷
এই জায়গায় ব্রু শরনার্থীদের পুনর্বাসনের কথা জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে এলাকাবাসী৷ এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে এই নিয়ে মহকুমা শাসক, জেলা শাসক ও ব্লকে লিখিত আকারে আবেদন জমা করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ এই এলাকার অধিকাংশ লোকজন গরীব অংশের৷ সকলে জীবীকা অর্জনের জন্য বনের উপর নির্ভরশীল৷ বন থেকে বাঁশকুরুল, লাকড়ী সংগ্রহ করে এগুলি বাজারজাত করে কোনো প্রকারে দিন কাটায় এলাকাবাসী৷
এলাকাবাসীর অভিযোগ এই বন ধবংস হয়ে গেলে এলাকার লোকজনেরা ক্ষতির সন্মুখিন হতে হবে৷ বুধবার দূর্পা বাড়ী এডিসি ভিলেজে ব্রু শরনার্থীদের ৪১ জনের প্রতিনিধি দল পরিদর্শনের কথা জানতে পেরে এলাকার লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে পথ অবরোধে বসে৷ আজকের এই পরিদর্শনে ব্রু শরনার্থীদের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন শান্তির বাজারের ভারপ্রাপ্ত মহকুমাশাসক তথা ডি সি এম প্রীতম সরকার, শান্তির বাজার থানার ওসি বিশ্বজিৎ দেবর্বমা, ডিসি মনোজ পাল সহ অন্যান্যরা৷
এলাকাবাসী ডি সি এম প্রীতম সরকারের নিকট পুনরায় উনাদের দাবিসনদ তুলে ধরেন৷ কিছু সময় পর্যন্ত এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলার পর ডি সি এম প্রীতম সরকার ও শান্তির বাজার থানার ওসি বিশ্বজিৎ দেবর্বমার প্রতিশ্রুতিতে এলাকাবাসী পথ অবরোধ প্রত্যাহার করে৷ অবশেষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখে ব্রু সেটেলমন্টের জায়গা পরিদর্শন না করেই সকলে ফিরে আসেন৷
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ মানিক সাহা আগরতলায় এক পর্যালোচনা সভায় ব্রু রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷