BRAKING NEWS

মোদী সরকার আসার পর দেশের গ্রামের প্রকৃত উন্নয়ন হয়েছে : কেশব মৌর্য

কানপুর, ২৭ আগস্ট ( হি.স.) : স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষ্যে দেশে অমৃত মহোৎসব পালিত হয়েছে। প্রতিটি বাড়িতে তেরঙ্গা প্রচার চালানো হয়েছে। হিন্দুস্থান সমাচার সংবাদ সংস্থাও ৭৫ বছর পূর্ণ করছে। হিন্দুস্থান সমাচার নিউজ এজেন্সির ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনেক অনেক অভিনন্দন জানালেন উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য। উপ-মুখ্যমন্ত্রী মৌর্য বলেন, ১৯৪৮ সালে যখন সংবাদ সংস্থা হিন্দুস্থান সমাচার শুরু হয়েছিল, তখন ভাবিনি যে আগামী সময়ে সংস্থাটির এত বড় আকার হবে। স্বাধীনতার সময় থেকে এই সংস্থা অভিযোগের পথে হেঁটে খবর দিচ্ছে।

শনিবার বহুভাষিক সংবাদ সংস্থা হিন্দুস্থান সমাচার প্রতিষ্ঠার অমৃত মহোৎসব বর্ষ উপলক্ষে কানপুরের শিল্প শহর রাগেন্দ্র স্বরূপ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত “উত্তরপ্রদেশ: উদ্যোক্তা ও গ্রামীণ উন্নয়ন” শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখছিলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী মৌর্য। মৌর্য আরও বলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার দেশে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গ্রামের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনা হচ্ছে যাতে গ্রামের মানুষ শহরের দিকে না ছুটে। দরিদ্র পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি দেওয়া হয়েছে। সৌভাগ্য যোজনা থেকে মানুষ উপকৃত হয়েছে। গ্রামে বিদ্যুৎও দেওয়া হচ্ছে। গরিবদের গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগে টাকার অভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারাতেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী গরিবদের পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা দিয়েছেন। রাস্তার বিক্রেতাদের টাকার অভাব ছিল। মানুষের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়ে কাজ করতেন। সুদ পরিশোধেই তার জীবন শেষ হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনার অধীনে গ্যারান্টি ছাড়াই তাদের ঋণ দেওয়া হয়েছে।

কেশব বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্বাস করেন যে সমাজের উন্নতি করতে হলে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। উত্তরপ্রদেশ সরকার ছয় লাখ স্বনির্ভর গোষ্ঠী গঠন করেছে। এসব দলের মহিলারা নিজেদের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন। এর মাধ্যমে মহিলাদের হাতকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। বিজলী সখীকে উত্তরপ্রদেশে মোতায়েন করা হয়েছে। এভাবে মহিলাদের আয় বেড়েছে। আগে শুধু পুরুষদের সেবক হিসেবে রাখা হত। এখন নারীর ভূমিকাও বাড়ানো হয়েছে। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটের মাধ্যমে কৃষকের আয় বেড়েছে। আমাদের সরকার কৃষকদের ক্ষমতায়ন করছে। এভাবেই এই সরকার গ্রামের উন্নয়নে পূর্ণ অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
এদিনের অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হিন্দুস্থান সমাচার গ্রুপের চেয়ারম্যান অরবিন্দ মার্ডিকার বলেন, হিন্দুস্থান সমাচার সংবাদ সংস্থার ধারণার সঙ্গে আপস না করে কাজ করছে। ১৯৬২ সালে যখন চিন ভারত আক্রমণ করেছিল, তখন হিন্দুস্থান সমাচার প্রথম পোক্ত সংবাদ প্রকাশ করেছিল। আজও হিন্দুস্থান সমাচারই প্রথম খবর দেয়। দূরদর্শন ও প্রসার ভারতী এটা মেনে নিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *