BRAKING NEWS

কলকাতা বন্দর থেকে বাংলাদেশের মংলা-বিবিরবাজার হয়ে সড়ক পথে সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর সুসংহত স্থলবন্দরে আজ ট্রায়াল রানে একটি পণ্যবাহী ট্রাক এসে পৌঁছেছে

সোনামুড়া, ১৬ আগস্ট : কলকাতা বন্দর থেকে বাংলাদেশের মংলা-বিবিরবাজার হয়ে সড়ক পথে সোনামুড়ার শ্রীমন্তপুর সুসংহত স্থলবন্দরে আজ ট্রায়াল রানে একটি পণ্যবাহী ট্রাক এসে পৌঁছেছে। শ্রীমন্তপুর সুসংহত স্থলবন্দরে এই পণ্যবাহী ট্রাককে রাজ্যে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় এবং ক্ষমতায়ন প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরকে ব্যবহার করে দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে পণ্য পরিবহণের জন্য ইতিমধ্যেই ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সড়ক পথে পণ্য পরিবহণে যে কোনও সমস্যা নিরসনের জন্য চুক্তি অনুযায়ী ২৩ জুলাই, ২০২০তে প্রথম ট্রায়াল রান সম্পন্ন হয়েছিল। দ্বিতীয় ট্রায়াল রানটি ৫ আগস্ট, ২০২২ কলকাতা থেকে শুরু হয়েছিল। দুটি কনসাইনমেন্টের মধ্যে একটি কলকাতা বন্দর থেকে মংলা, তমাবিল হয়ে মেঘালয়ের ডাউকিতে যাবে। অপরটি কলকাতা বন্দর থেকে মংলা হয়ে বিবিরবাজার হয়ে ত্রিপুরার শ্রীমন্তপুরে এসে পৌঁছায়। তাছাড়া, ৫ অক্টোবর, ২০১১ সালের এসওপি অনুযায়ী বাংলাদেশের এই দুটি বন্দরকে ব্যবহার করে রাজ্যের আগরতলা ও শ্রীমন্তপুর এবং আসামের সুতারকান্দি ও মেঘালয়ের ডাউকিতে সড়ক পথে পণ্য পরিবহণ করা হবে।

শ্রীমন্তপুর সুসংহত স্থলবন্দরে এই উপলক্ষে আয়োজিত স্বাগত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেন, শ্রীমন্তপুর সুসংহত স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ বৃদ্ধি পেলে সোনামুড়া সহ আশপাশ এলাকায় রোজগারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তিনি বলেন, ভারত সরকার মংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নীতকরণের জন্য টাকা বরাদ্দ করেছে। বর্তমানে রাজ্য থেকে কেবলমাত্র ২৫ ধরনের সামগ্রী এই শ্রীমন্তপুর এলসিএইচ দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানি করা হয়। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামীদিনে রপ্তানিকারক সামগ্রীর সংখ্যা বাড়িয়ে ৫০ করা যাবে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ভারতবর্ষের প্রতিবেশি দেশগুলির পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্ক অনেকটা মজবুত হয়েছে। তার সুফল আগামীদিনে রাজ্য তথা দেশ লাভ করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পিএম গতিশক্তি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। যাতে বিভিন্ন মন্ত্রকের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রেখে যেকোনও সরকারি কাজ সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্দেশে এই বছর থেকে বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে আরও বড় আকারে রাজ্যে পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি এদিন জানান। আজকের এই কনসাইনমেন্টে ২৭০ কার্টুন প্রি ফোম আনা হয়েছে। এগুলি স্থলপথে শিলচর নিয়ে যাওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যৌথভাবে প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার দিকে কাজ করছে। এরফলে দুদেশের মধ্যে ব্যবসা বাড়বে এবং রোজগার সৃষ্টি হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক সুভাষ চন্দ্র দাস, কাঁঠালিয়া পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান পুষ্প ভৌমিক দেবনাথ, সোনামুড়া নার পঞ্চায়েতের ভাইস চেয়ারপার্সন শাহজাহান মিঞা, চট্টগ্রামে ভারতীয় হাইকমিশনের অ্যাসিস্টেন্ট হাইকমিশনার ড. রাজীব রঞ্জন, আগরতলায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের অ্যাসিস্টেন্ট হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, বিএসএফ-এর ১৭৯ ব্যাটেলিয়নের ডেপুটি কমানডেন্ট হীরণ্ময় হালদার। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন আখাউড়া ল্যান্ডপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার ম্যানেজার দেবাশিস নন্দী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *