নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ জুলাই৷৷ প্রয়োজনীয় শিক্ষকের অভাবে মন্দীর নগরীর উদয়পুরের গকুলপুর সুকলের পঠন পাঠন মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে৷ তিনজন শিক্ষককে অন্যত্র ডেপুটেশনে নিয়ে যাওয়ার ফলেই সমস্যা জটিল আকার ধারণ করেছে বলে অভিভাবকরা জানিয়েছেন৷ শিক্ষক সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পঠন পাঠন৷
নিয়মিত পঠন-পাঠনে দেখা দিয়েছে নানা ধরনের সমস্যা৷ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বিদ্যালয়গুলি৷ বাদ নেই মন্দির নগরী উদয়পুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়৷ উদয়পুর শহর থেকে গোমতী নদী পাড় হয়ে ঝুলন্ত সেঁতু দিয়ে মাএ তিন কিলোমিটার রাস্তা পের হলেই গকুলপুর হাইসুকল৷ এই বিদ্যালয়ে প্রাথমিক বিভাগে ১৫৪ জন ছাএছাএী রয়েছে৷ শিক্ষক রয়েছেন পাঁচ জন৷ বর্তমানে তিন জন শিক্ষককে শিক্ষা দপ্তর ডেপুটেশনে নিয়ে যাবার ফলে এক জন শিক্ষক এবং এক জন শিক্ষিকা দিয়ে প্রাথমিক বিভাগটি চলছে৷ ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাবে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী এক সঙ্গে এবং বাকী ক্লাস গুলোও প্রায় এক সঙ্গে ক্লাস নিচ্ছেন৷ ফলে কোন ক্লাসেই ঠিক মতো পড়াশোনা হচ্ছে না৷
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রুপা দাস ঘটনা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ অথচ বিদ্যালয়টিতে এত সুন্দর না গেলে বোঝা যায় না৷ বিদ্যালয়টিতে ফুল, ফলের গাছ, খেলার সামগ্রী সবই রয়েছে৷ ছাএছাএীরা পরীক্ষার ফলাফল ভালই করে বলে জানান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা৷ বিদ্যালয়টিতে এত কিছু থাকা সত্বে ও বিদ্যালয়ের শিক্ষা দপ্তর কেন তিনজন শিক্ষককে ডেপুটেশনে নিয়ে গেছে বোধগম্য হচ্ছে না এলাকাবাসীরা৷
এ ক্ষেত্রে শিক্ষা দপ্তরের কোন হেলদোল নেই৷ দাবি উঠছে বিদ্যালয়ে তিনজন শিক্ষককে আবার ফিরিয়ে দেবার জন্য যাতে করে সুকলটিতে শিক্ষার পরিবেশ আবার ফিরে আসে৷ অবিলম্বে বিদ্যালয়ে পঠন পাঠন পূর্বের মতো ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক নিয়োগ করা না হলে এলাকার ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা আন্দোলনের শামিল হবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন৷