BRAKING NEWS

Himanta Biswa Sharma:সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে রাজ্য সরকার সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে, বকোয় ২৫ মেগাওয়াটের প্রকল্প উদ্বোধন করে বলেছেন মুখ্যমন্ত্ৰী‘আগামী এক মাসের মধ্যে শিলচর ও নগাঁওয়ে ৫০ মেগাওয়াট সম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করার চেষ্টা চলছে’

বকো (অসম), ২০ জুলাই (হি.স.) : জলবায়ু পরিবর্তন আজ একটি বৈশ্বিক সমস্যা। গ্যাস কয়লার মতো উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, পেট্রোল, ডিজেল-চালিত যানবাহনের জন্য কার্বন নির্গমন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে, গাছ-গাছালি ধ্বংস হওয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণও বেড়েছে। তা সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার আবরণকে ধ্বংস করছে। এর ফলে বায়ুমণ্ডলীয় তাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে, স্বচ্ছ ও সবুজ শক্তির লক্ষ্যে এক বড় পদক্ষেপ হিসেবে আজ বুধবার বকোর ভালুকঘাটায় ২৫ মেগাওয়াটের বোকো সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করে প্রদত্ত ভাষণে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার আগামী এক মাসের মধ্যে শিলচর ও নগাঁওয়ে ৫০ মেগাওয়াট সম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গত আজ উদ্বোধিত এই প্ৰকল্পের মাধ্যমে ৬৫ হাজার গ্ৰাহককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবৰ্তন রোধ করতে মানুষকে এবার বিশ্বযুদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজন এসে গেছে। বিশ্বে জলবায়ু পরিবৰ্তন রোধ করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদী। ২০৩৫ সালের মধ্যে ভারত ৫০ শতাংশ কার্বন নির্গমন রোধ করার লক্ষ্য নিৰ্ধারণ করেছে। প্ৰধানমন্ত্ৰীর এই প্ৰয়াসকে স্বাগত জানিয়ে রাজ্য সরকারও কার্বন নির্গমন রোধ করার জন্য ইতিমধ্যে দৃঢ়তার সঙ্গে প্ৰয়াস চালিয়েছে।

মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, অপরম্পরাগত শক্তি থেকে বিদ্যুৎ আহরণের জন্য রাজ্য সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিৰ্ধারণ করছে বলে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমগুড়িতে ৭০ মেগাওয়াট, ওদালগুড়িতে ২৫ মেগাওয়াট এবং আজ বকোয় ২৫ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের শুভারম্ভ করা হৈছে। তিনি আরও বলেন, রাজ্য সরকার আগামী এক মাসের মধ্যে শিলচর ও নগাঁওয়ে ৫০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ চালিত প্রকল্প চালু করার চেষ্টা করছে। প্রসঙ্গক্রমে তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের প্রতি রাজ্যবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

ড. শর্মা বলেন, অসমের উন্নয়নের গতি আরও ত্বরান্বিত করতে রাজ্য সরকার বহু জনমুখি প্ৰকল্প রূপায়ণ করেছে। কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয়, তাঁতশিল্পীদের কাছ থেকে বস্ত্ৰ ক্ৰয়ের জন্য স্বনিৰ্ভর নারী প্রকল্প, ভূমি-বাড়ির সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা, বেকারদের কর্মসংস্থাপনের পদক্ষেপ, মাইক্ৰোফিনান্সের ঋণ রেহাই ইত্যাদি পদক্ষেপসমূহের বিষয়ে আলোকপাত করে মুখ্যমন্ত্ৰী বলেন, অরুণোদয় প্রকল্পের অর্থ ১,০০০ টাকা থেকে ১,২৫০ টাকায় বাড়ানো হবে। বকো বিধানসভা এলাকায় নতুন করে ৬,০০০ মহিলাকে অরুণোদয় প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা বলেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ঘোষণা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্ৰ মোদীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ‘হর ঘর তেরঙ্গা’ কাৰ্যসূচি অসমেও রূপায়িত করার জন্য ব্যাপক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে আগামী ১৩ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের প্ৰতিটি পরিবার, সরকারি-বেসরকারি কাৰ্যালয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব। তিনি প্রত্যেক রেশন দোকানে জাতীয় পতাকা উপলব্ধ হবে বলেও জানান। স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে রাজ্যের প্ৰতিটি বাড়ি ও ঘরে একেকটি অমৃত বৃক্ষ রোপণ করতেও মুখ্যমন্ত্ৰী ড. শর্মা আহ্বান জানিয়েছেন আজ৷

আজকের অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী নন্দিতা গারলোসা৷ ছিলেন বনমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি, হস্ততাঁত ও বস্ত্ৰ শিল্পমন্ত্ৰী ইউজি ব্রহ্ম, বিধায়কগণ যথাক্রমে নন্দিতা দাস, হেমাংগ ঠাকুরিয়া, সুমন হরিপ্রিয়া, রেকিবুদ্দিন আহমেদ, রাভা হাসং স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কাৰ্যনির্বাহী সদস্য টংকেশ্বর রাভা, বিদ্যুৎ বিভাগের শীৰ্ষ আধিকারিকবর্গ এবং বহু গণ্যমান্য ব্যক্তি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *