ক্রীড়া প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জুলাই।। চিন্তা এবং মননের বিকাশে খেলাধূলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই প্রত্যেকরই উচিত পড়াশুনার পাশাপাশি শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে খেলাধূলা করা। তাহলেই গড়ে উঠবে উন্নত সমাজ। বৃহস্পতিবার ৪৪ তম চেস আলিম্পিয়াডের টর্চ র্যালি অনুষ্ঠানে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী ডা: মানিক সাহা। টাউন হলে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “দাবা খেলার প্রসার আরও কিভাবে বিস্তার করানো যায় তা নিয়ে ভাবা উচিৎ। স্কুল স্তরেও ওই খেলা চালু করলে লাভবান হবে। রাজ্য সংস্থার কর্তাদের উচিৎ এনিয়ে আলোচনা করা ক্রীড়া দপ্তরের সঙ্গে। আর এ কাজে সবরকম সহযোগিতা করবো আমি”। এদিন বিকেলে গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাভা গুহ-র হাত ধরে ত্রিপুরায় আসে ওই টর্চ। যার শুভসূচনা হয়েছিলো ১৯ জুন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে। দেশের বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে এদিন বিকেলে গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাভা গুহ-র হাত ধরেমহারাজা বীর বিক্রম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবকরণ করে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া দপ্তর এবং রাজ্য দাবা সংস্থার কর্তারা থেকে দাবাড়ুরা। বিমানবন্দরে দাবাড়ুদেরও অপমান করা হয় বলে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। এরপর র্যালি করে ওই টর্চ নিয়ে আসা হয় টাউন হলে। সেখানে রাজ্যের অনূর্ধ্ব-১৫ বিভাগে সেরা ২০ দাবাড়ুকে কার্যত অপমান করলেন ক্রীড়া দপ্তরের কর্তারা। সাইমলটেনিসের নাম করে করলেন কার্যত সস্তা নাটক। পরে টাউন হলের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে ওই টর্চ তুলে দেন গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাভা গুহ। স্বাগত ভাষনে রাজ্য দাবা সংস্থার সভাপতি প্রশান্ত কুন্ডু স্পষ্টভাবেই বলেন,”দায়িত্বভার নেওয়ার একবছরের মধ্যে ত্রিপুরার দাবাকে অনেকটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে চলছি আমরা। একবছরে ৪১ টি আসর করা হয়েছে। এখন স্কুল স্তরে দাবা চালু করা হলে ত্রিপুরার দাবাড়ুদের আরও উন্নতি হবে। শুধু জাতীয় স্তরে নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও দাপট দেখাতে পারবে। প্রসেনজিৎ দত্ত, আর্শিয়া দাসের মতো আরও দাবাড়ু তখন বেরিয়ে আসবে”। সভাপতির ওই বক্তব্যের সম্মতি জানিয়ে আগামী দিনে স্কুল স্তরে দাবা চালর করা যায় কীনা তা ভেবে দখা হবে বলে জানালেন ক্রীড়া দপ্তরের সচিব শরদীন্দু চৌধুরি। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেয়র দীপক মজুমদার, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার সভাধিপতি অন্তরা দেব সরকার, জেলা শাসক দেবপ্রিয় বর্ধন, এন ওয়াই কে এসের রাজ্য সভাপতি জবা চক্রবর্তী এবং রাজ্যের বিষ্ময় বালিকা আর্শিয়া দাস। শেষে মুখ্যমন্ত্রী টর্চ তুলে দেন রাজ্য দাবা সংস্থার সভাপতির হাতে। অনুষ্ঠান শেষে রাজ্য সংস্থার সভাপতি পুনরায় ওই টর্চ তুলে দেন গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাভা গুহ-র হাতে। এদিন রাতেই গ্র্যান্ডমাস্টার মিত্রাভা গুহ ওই টর্চ নিয়ে চলে যান ভুবনেশ্বরে।