BRAKING NEWS

Kailasahar : দুই সতীনের বিবাদ, কৈলাসহর আদালত চত্বরে চলল ছুরি, আহত এক

কৈলাসহর, ২ জুন৷৷ এবার খোদ আদালত চত্বরেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ঘটে দুই সতীনের মধ্যে৷ ঘটনা কৈলাসরের ঊনকোটি জেলা ও দায়রা আদালতের পুলিশ কোর্টের বারান্দায়৷

ঘটনা বিবরণে জানা গেছে, কৈলাসহরের ইরানী গ্রামের বাসিন্দা আববাস আলী ৫ বছর পূর্বে নাজমা বেগমকে বিয়ে করে ওই গ্রামেই বসবাস করছিলেন৷ বিয়ের এক বছর পর নাজমা বেগম অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে যান৷ নাজমা বেগম অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে যাবার এক বছর পর আববাস আলী কুমারঘাট মহকুমার সায়দারপাড় এলাকার জাহেনারা বেগমকে বিয়ে করে ইরানি বাড়িতেই বসবাস করেছিলেন৷ কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ের এক বছর পর ফের প্রথম স্ত্রী নাজমা বেগম আববাস আলীর ইরানি গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন৷ এরপরই শুরু হয় পারিবারিক কলহ৷

পারিবারিক এই কলহ আববাস নিজেই নিয়ন্ত্রণ করেন৷ আববাস আলী তার প্রথম স্ত্রী নাজমা বেগমকে কৈলাসহরের ইরানী গ্রামের বাড়িটি লিখে দেন এবং নাজমাকে ইরানি গ্রামের বাড়িতেই রেখে দিয়ে আববাস আলী তার দ্বিতীয় স্ত্রী জাহেনারাকে নিয়ে কুমারঘাট মহকুমার সায়দারপাড় গ্রামের শ্বশুর বাড়িতে চলে যান এবং সেখানেই বসবাস শুরু করেন৷ কিছুদিন এভাবে অতিবাহিত হওয়ার পর নাজমা বেগম খরপোশের জন্য ইরানি থানায় মামলা করেন৷ মামলা কৈলাসহর আদালতে চলছে৷

কিন্তু অনেক দিন ধরে আদালতের সমন পাওয়ার পরও আববাস আদালতে হাজির না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়৷ সে মোতাবেক গতকাল বুধবার গভীর রাতে সায়দারপাড় গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ আববাস আলীকে গ্রেফতার করে৷ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাহেনারা বেগম কৈলাসহর আদালতে আসে স্বামী আববাস আলীকে জামিনে মুক্ত করে নিয়ে যেতে৷ জাহেনারা পুলিশ কোর্টের বারান্দায় বসে আববাস আলীর অপেক্ষা করছিলেন৷ ঠিক সেসময় নাজমা বেগম জাহেনারাকে পিছন দিকে ছুরি নিয়ে এসে তাঁর গলায় এবং মাথায় তিনটি আঘাত করেন৷ শুরু হয়ে যায় চিৎকার চেচামেচি৷

সাথে সাথে আদালতের পুলিশ এবং উপস্থিত সাধারণ মানুষরা নাজমাকে ঘিরে রেখে মহিলা থানায় খবর দেওয়া হয়৷ খবর পেয়ে মহিলা থানার পুলিশ নাজমাকে থানায় গ্রেফতার করে আনে৷ নাজমা বেগম সম্পর্কে জাহেনারা বেগম জানান, নাজমা বেগম একজন বাংলাদেশী৷ ৫ বছর পূর্বে আববাস আলী বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে নাজমা বেগমকে নিয়ে বিয়ে করে ইরানি গ্রামের বাড়িতে ছিলো৷নাজমা বেগমকে জানান, স্বামীর গ্রেফতারির খবর শোনে তাঁকে আদালত থেকে মুক্ত করে নিয়ে যেতে এসেছিলেন। পুলিশ কোর্টে জাহেনারা ছুরি দিয়ে নাজমাকে আঘাত করতে ব্যর্থ হয়ে নিজেই নিজের গলায় আঘাত করে এই নাটক করেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *