BRAKING NEWS

 Anganwari : চাকরির অফারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ ১৭ দিন ধরে ইন্দিরা নগর দক্ষিণ পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ীতে তালা

বক্সনগর, ১ জুন৷৷ দীর্ঘ ১৭ দিন হয়ে গেলেও অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে অফারকে ঘিরে যে তালা ঝুলানো হয়েছিল, সে সমস্যা সমাধান করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কোনো হেলদোল নেই৷ আসছেন না স্থানীয় কাউন্সিলর, এমনকি পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদেরও দেখা মিলছে না৷ কিন্তু, ওই সমস্যার অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে প্রায় ২১ জনের বেশি কচিকাঁচাদের ভবিষ্যত কিন্তু অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছে৷

উল্লেখ্য, আজ থেকে প্রায় ২০ বছর আগে মেলাঘর পুর পরিষদের আট নম্বর ওয়ার্ডের বকশি বাড়ির ফজর আলী মেম্বার ইন্দিরা নগর দক্ষিণ পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের জমি দান করেন৷ সেই সময় রাজ্যে সিপিআইএম সরকার পরিচালিত ছিল এবং ইন্দিরানগর তখনকার সময় গ্রাম পঞ্চায়েত সিপিআইএম এর দখলে ছিল৷ সেদিন পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি এবং সিপিআইএমের লোক্যাল নেতৃত্বরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এই দানকৃত অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে বকশি বাড়ি থেকে দিদিমণি ও হেলপার নিয়োগ করা হবে৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় তখন বক্সী বাড়ির মহিলাদের মধ্যে অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে চাকরি করার জন্য যে যোগ্যতার প্রয়োজন সে যোগ্যতা না থাকার ফলে বকশি বাড়ি থেকে দিদিমনি কেউ হতে পারেননি৷

দিদিমনির নিয়োগ না হলেও বক্সী বাড়ি থেকে মিলোয়ারা বেগম নামে এক হেলপার নিয়োগ হয়েছিল৷ শেষ পর্যন্ত তখনকার সময় একই গ্রাম পঞ্চায়েতের যোগ্যতা অনুসারে মেলাঘর লালমিয়ার চৌমুনী থেকে মাফিয়া বিবি নামে এক মহিলাকে দিদিমণি বা শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ করা হয়৷ কথা ছিল তখনকার সময় যদি এই দিদিমনির কোন অঘটন ঘটে বা চাকরি শেষ হয়ে গেলে বকশি বাড়ি থেকে দিদিমনি নিয়োগ করা হবে৷ কিন্তু ২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে দিদিমণি মাফিয়া বিবি মারা গেলে বর্তমান বিজেপি সরকার পরিচালিত এবং ওই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্র কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে দানকৃত ফজর আলীর ভাতিজা ইসমাইল মিয়ার পুত্রবধূ রোজিনা খাতুনকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ করে। অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রে যখন ইন্টারভিউ নেয়া হবে তখন অফার প্রার্থী হিসেবে স্থায়ীভাবে নেওয়া হবে।

যতদিন পর্যন্ত অফার হাতে না আসে ততদিন পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে রোজিনা খাতুনকে এই কেন্দ্র পরিচালনা করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ এই হিসাব মূলে দানকৃত ফজর আলীর ভাতিজা ইসমাইল মিয়ার পুত্র বধু রোজিনা খাতুন দীর্ঘ দুই বছর ধরে দিদিমণি হিসেবে কেন্দ্রটি পরিচালনা করছেন৷ কিন্তু হঠাৎ করে তারা দেখতে পান আট নম্বর ওয়ার্ডের বাইরে থেকে সীমা নমঃ দাস নামে এক মহিলাকে সরকারিভাবে এই কেন্দ্রে শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে৷ যার ফলে এই দানকৃত জমির মালিক সহ তার আত্মীয়স্বজনরা তা মানতে পারেননি৷ তাই তারা অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে তালা লাগিয়ে দেন এবং যতদিন পর্যন্ত দানকৃত জমির মালিকের ফজর আলীর ভাতিজা ইসলাম মিয়ার পুত্রবধূ রোজিনা খাতুন এই কেন্দ্রে চাকরি না পান ততদিন পর্যন্ত এই অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রে তালা ঝুলবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *