BRAKING NEWS

Attack : বিজেপির নেতা পেটালো কর্মরত বাস্তুকারকে, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে ডেপুটেশন

নিজস্ব প্রতিনিধি, ধর্মনগর, ৬ মার্চ৷৷ শাসক বিজেপি দলের নেতাকর্মীদের সন্ত্রাস যেন নিত্যদিনের মুখরোচকে পরিণত হয়েছে৷এবার প্রাক্তন মন্ডল যুব মোর্চার সহ-সভাপতি পেটালো কর্মরত এক বাস্তুকারকে৷ঘটনা চাউর হতেই সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছে৷ অবশ্য থানায় মামলা হবার পর দলদাস পুলিশ এক নিরীহ সহজ সরল ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে৷তবে মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে জেলা শাসকের নিকট গন ডেপুটেশন ও এসোসিয়েশন অফ সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার্স সংঘটনের জেলা নেতৃত্বের চবিবশ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিয়ে কর্মবিরতিতে বসলেন৷পরিস্থিতি নাগালের বাইরে দেখে অভিযুক্ত শাসকদলীয় নেতা লেজ গুটিয়ে বাড়ি থেকে পলায়ন৷ঘটনা উত্তর জেলার ধর্মনগর মহাকুমাধীন কালাছড়া আর ডি ব্লকে৷


ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উত্তর জেলার ৫৫ নং বাগবাসা মন্ডলের প্রাক্তন যুব মোর্চার সহ-সভাপতি পরিক্ষিৎ সিনহা রাজ্যে বিজেপি গঠনের পর নিজেকে বিজেপির বড় নেতা জাহির করে ঠিকাদারের খাতায় নাম লেখায়৷তার রক্তচক্ষু,বাহুবল ও দলের ভয়ে কেউ কিছু বলতে সাহস যোগায় না৷সেটাকে পুঁজি করে একচেটিয়া সরকারী কাজ করে চলে ঐ বিজেপি নেতা৷আর তাতে করে বৈধ্য ঠিকাদাররা সরকারী কাজ থেকে বঞ্চিত হয়ে যান৷শুধু এখানেই শেষ নয়,ঐ নেতা বিজেপি রাজ্য সভাপতি থেকে শুরু করে প্রদেশ সাধারণ সম্পাদক,জেলা নেতৃত্ব ও বাগবাসা মন্ডল সভাপতির সাথে তার অহরম দহরম সম্পর্ক এমনটাই সর্বত্র বুলি গেয়ে বেড়ায়৷ এমনকি গুনধর ঐ নেতার সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে একাধিক প্রদেশ সহ জেলা ও মন্ডল নেতৃত্বের সাথে তোলা ছবি দিয়ে ঠেসে রেখেছেন৷তার সুবাদে অভিযুক্ত বিজেপি নেতার গর্জনে উত্তর জেলার পুলিশ প্রশাসন ভয়ে কাঁপতে থাকে বলে সূত্রের খবর৷

 ইদানিংকালে শাসক দলীয় নেতা পরিক্ষিৎ সিনহা হুলিয়া জারি করে,কালাছড়া ব্লকে যেকোনো ধরনের উন্নয়ন মূলক সরকারী কাজের বরাদ্দ আসলে তাকে জানাতে হবে৷কিন্তু তার সেই আদেশ মানতে নারাজ কালাছড়া ব্লকে কর্মরত বাস্তুকার বিজন রক্ষিত৷বাস্তুকারের বক্তব্য,গ্রামের উন্নয়নে গ্রামের প্রধান কিংবা চেয়ারম্যান ছাড়া রাজ্য সরকারের উন্নয়নের সরকারী বরাদ্দের টাকা আসার কথা তিনি কাউকে জানাবেন না৷উল্লেখ্য চলতি অর্থবছরের কালাছড়া ব্লকাধীন প্রত্যেকরায় গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি ইটসলিং রাস্তার কাজের এক লাখ টাকা বরাদ্দের কথা বাস্তুকার বিজন রক্ষিত সানীয় গ্রামের প্রধানের কাছে জানানোর পর পরিক্ষিৎ সিনহার কথা অমান্য করায় সেই শাসকদলীয় নেতা চটে লাল হয়ে যান৷ তারপর চার মার্চ শুক্রবার বিকেল নাগাদ আচমকা কালাছড়া আর ডি ব্লকে এসে হানা দেয় প্রশিক্ষিত সিনহা সহ বাগবাসা মন্ডল সহ- সভাপতি অনিল সিনহা ওরফে ধুম্বা ও তার অনুগামীরা৷তখন পরিক্ষিৎ সিনহা তার দলবল নিয়ে ব্লকের অফিস গৃহে ডুকে দরজা বন্ধ করে কর্তব্যরত অবস্থায় বাস্তুকার বিজন রক্ষিতকে প্রচণ্ড ভাবে মারধর করে বলে অভিযোগ৷সে সময় অফিসের কর্মচারীদের সহযোগিতায় প্রানে বাঁচেন বাস্তুকার বিজন রক্ষিত৷পরবর্তীতে শুক্রবার রাতে কদমতলা থানায় একটি মামলা রুজু করেন অভিযুক্ত পরিক্ষিৎ সিনহা,অনিল সিনহা ওরফে ধুম্বা সহ তাদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে৷ কিন্তু লিখিত অভিযোগ পাবার পর সানীয় থানার দলদাস পুলিশ কাউকে গ্রেফতার না করে ঘটনাটি চেপে যাবার চেষ্টা চালায়৷ অবশেষে অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় শনিবার সন্ধ্যায় উত্তর জেলার জেলা শাসকের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান এসোসিয়েশন অফ সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার্স ত্রিপুরা সংঘটনের সদস্যরা৷পরবর্তীতে জেলা শাসক নাগেশ কুমার ভি র সাথে এক গন ডেপুটশনে মিলিত হন সংঘটনের সদস্যরা৷জেলা শাসক সংঘটনের নেতৃত্বদের আশ্বস্ত করেন যে, ঘটনাটি তাঁর নজরে রয়েছে সুতরাং অভিযুক্তরা কোনভাবেই পার পাবেনা৷ তারপর পরিস্থিতি বেসামাল দেখে কদমতলা থানার পুলিশ সজল ঘোষ(কানাই) নামের নিদর্োষ নিরীহ সহজ সরল এক ব্যক্তিকে গোবিন্দপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে৷ যার মামলা নম্বর ১৬, ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৪২/৩৫৩/৩৩২/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে কদমতলা থানার পুলিশ৷তবে  এসোসিয়েশন অফ সার্ভিস ইঞ্জিনিয়ার্স ত্রিপুরা সংঘটনের সদস্যদের আন্দোলনের পর উক্ত ঘটনায় মূল অভিযুক্ত পরিক্ষিৎ সিনহা,অনিল সিনহা ওরফে ধুম্বা সহ তাদের অনুগামীরা বাড়ি থেকে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে৷ বর্তমান উত্তর জেলায় অভিযুক্তরা অবসান করলেও পুলিশের বক্তব্য তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷ এদিকে উক্ত ঘটনার মূল পাণ্ডা অর্থাৎ বিজেপি নেতা পরিক্ষিৎ সিনহার কুকর্ম সানীয় ব্লক এলাকায় কান পাতলেই শোনা যায়৷অভিযুক্ত নেতা শুধু এ যাত্রায় বখস্তুকার পিঠিয়েছেন তা নয়৷এর পূর্বেও শনিছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত নার্স সহ সরকারি কর্মচারী ও সাধারন জনগনকে পিটিয়ে শ্রীঘরেও গিয়েছিল ঐ গুনধর৷তবে গোটা কালাছড়া জুড়ে জোরালো দাবি উঠছে, উক্ত ঘটনাটি তদন্ত ক্রমে কদমতলা থানার পুলিশ অভিযুক্ত শাসকদলীয় নেতা পরিক্ষিৎ সিনহা ও অনিল সিনহা ওরফে ধুম্বাকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করুক৷ এখন দেখার বিষয়, কদমতরা থানার পুলিশ এ যাত্রায় কি ভূমিকা গ্রহণ করে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *