BRAKING NEWS

প্রজাতন্ত দিবস উদযাপনে ত্রিপুরায় জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোভিড বিধিনিষেধ মেনে এবছরও বন্ধ মার্চপাস্ট

আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি (হি. স.) : প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে ত্রিপুরায় জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সীমান্তে টহলদারি বাড়ানোর পাশাপাশি শহরাঞ্চলে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি করা হচ্ছে। সন্দেহ হলেই পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তাতে, প্রজাতন্ত্র দিবসে ত্রিপুরায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রশ্নে সমস্ত আয়োজন করেছে আরক্ষা দফতর। কোভিড বিধিনিষেধের কারণে এবছরও অসম রাইফেলস ময়দানে মার্চপাস্ট হবে না।
প্রসঙ্গত, ২৬ জানুয়ারি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস। ত্রিপুরায় প্রজাতন্ত্র দিবসের মূল অনুষ্ঠান হবে আসাম রাইফেলস ময়দানে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে যাবতীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্যের অন্যান্য স্থানেও এ ধরনের তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।


ত্রিপুরা পুলিশের মহানির্দেশক ভি এস যাদব বলেন, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যেই এ ধরনের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল। এবছর পুলিশ, টিএসআর, সিআরপিএফ, আসাম রাইফেলস সহ অন্যান্য বাহিনীর মোট দশটি প্লাটুন মহড়া প্রদর্শন করবে। তবে, কোভিড বিধিনিষেধের কারণে এবছরও অসম রাইফেলস ময়দানে মার্চপাস্ট হবে না, বলেন তিনি। কিন্ত, কোভিড বিধি মেনে জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে অসম ময়দান, যোগ করেন তিনি।


তিনি বলেন, পুরো ত্রিপুরায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হয়েছে। সমস্ত জেলায় নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সীমান্তে বিএসএফ কড়া নজরদারি রাখছে ঠিকই। সাথে ত্রিপুরা পুলিশও নজরদারি বাড়িয়েছে। তাঁর দাবি, গোয়েন্দাদের গতিবিধি বাড়ানো হয়েছে। তাঁদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত ত্রিপুরা পুলিশ। তাঁর সাফ কথা, ত্রিপুরায় কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে।


এদিকে, আরক্ষা প্রশাসনের তরফে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যানবাহন তল্লাশি চালানো হলেও কোথাও থেকে কোনো অস্ত্রশস্ত্র বা আপত্তিকর কোনো জিনিসপত্র উদ্ধার হয়নি। যানবাহনে করে যাতে কোনো ধরনের অস্ত্রশস্ত্র গোপন করা যেতে না পারে সেজন্যই এই ধরনের আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অতিবাহিত করার জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি চূড়ান্ত করা হয়েছে। রাজ্যের সব কটি থানা, নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্প সহ সর্বত্র সর্তকতা জারি করা হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। যেকোনো ধরনের অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে বিএসএফের জওয়ানদের কঠোর মনোভাব গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


এদিকে, আন্তর্জাতিক সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান সার্বিকভাবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হবে বলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা আশা ব্যক্ত করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *