আগরতলা, ২৪ জানুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরায় করোনার দৈনিক সংক্রমনে ক্রমাগত নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু মৃত্যু মিছিল করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে এখনোও ভীষণ চিন্তায় রেখেছে রাজ্যবাসীকে। করোনা আক্রান্তের মৃত্যু ত্রিপুরায় লাগাতর বেড়েই চলেছে। অবশ্য, সুস্থতাও গতি তীব্র করেছে। তাই, সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমে আট হাজারের কাছাকাছি দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআরে ৪৪০ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ৩৫৫১ জনকে নিয়ে মোট ৩৯৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, আরটি-পিসিআরে ১৮ জন এবং রেপিড অ্যান্টিজেনে ২৪৪ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। সব মিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৬২ জনের শরীরে নতুন করে করোনা সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গেছে। করোনার নমুনা পরীক্ষা কমেছে, তাই দৈনিক সংক্রমণের হারও কমে হয়েছে ৬.৫৬ শতাংশ। গতকাল ৬৯৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৫৭ জনের দেহে নতুন করে করোনার সংক্রমণের খোজ মিলেছিল এবং দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ৭.৯৯ শতাংশ। মৃত্যু হয়েছিল ৪ জনের।
এদিকে, সুস্থতা কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫৬ জন করোনার সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৭৭৪৫ জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৯৮১৯৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৯৫১৩ জন সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে বর্তমানে করোনা-আক্রান্তের হার বেড়ে হয়েছে ৪.২৫ শতাংশ। তেমনি, সুস্থতার হার বেড়ে হয়েছে ৯১.২২ শতাংশ। এদিকে ০.৮৯ শতাংশ হয়েছে মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘণ্টায় চার জনের মৃত্যু হওয়ায় এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৮৬৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, পশ্চিম জেলাই করোনা সংক্রমণে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ৭৮ জন, উত্তর জেলায় ৪১ জন, সিপাহীজলা জেলায় ২ জন, দক্ষিণ জেলায় ৪২ জন, ধলাই জেলায় ৩৫ জন, ঊনকোটি জেলায় ৩৯ জন, খোয়াই জেলায় ৬ জন এবং গোমতি জেলায় ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।