আগরতলা, ১৯ জানুয়ারি (হি. স.) : মাঠে ঘাস কাটা নিয়ে বাকবিতন্ডার জেরে সন্ধ্যায় বাড়ি ঢুকে সংঘবদ্ধ হামলায় গৃহিনীর মৃত্যুর দায়ে আজ আদালত ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন। সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক জরিমানা করেছে।
এ-বিষয়ে সরকারী আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০০৮ সালের ২৮ নভেম্বর বড়জলা বিধানসভা কেন্দ্রের অধীন কল্যাণপুর পাড়া এলাকায় ঘাস কাটার সময় স্থানীয় বাসিন্দা লাল মোহন সরকারকে বাধা দেন সুজিত মালাকার। তাতে, তাদের মধ্যে তীব্র বাকবিতন্ডা হয়েছিল। ফলস্বরূপ, সন্ধ্যায় সুজিত মালাকার দলবল নিয়ে লাল মোহন সরকারের বাড়িতে হামলা করেন। আইনজীবী বলেন, লাঠি, দা নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলায় লাল মোহন সরকারের স্ত্রী নিরুবালা দেব মাথায় গুরুতর আঘাত পান এবং তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওইদিন রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, লাল মোহন সরকার ও তাঁর প্রতিবেশী মনোরঞ্জন সরকার ওই হামলায় আহত হন।
তিনি বলেন, ওই ঘটনায় লাল মোহন সরকারের ছেলে অজিত সরকার দোষীদের নাম উল্লেখ করে রামনগর ফাঁড়িতে মামলা করেন। পুলিশ ওই মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছিল। তিনি জানান, ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত সুজিত মালাকার এবং গোপাল পাল ঘটনা পরপরই পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন। এখনো তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, পুলিশ ওই মামলায় তদন্ত সমাপ্ত করে ভারতীয় দন্ডবিধি ৪৪৭, ৩২৩, ৩০২ এবং ১৪৯ ধারায় ২০০৯ সালে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। আদালতে ১৬ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। আজ পশ্চিম ত্রিপুরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক গোবিন্দ দাস বাড়ি ঢুকে সংঘবদ্ধ হামলা এবং বৃদ্ধার মৃত্যুর দায়ে উত্তম সরকার, উজ্জ্বল দেব, পঙ্কজ সূত্রধর, লিটন নাগ, রাজেন দেব, অমিত দেব এবং অজিত সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন এবং তাদের যাবজ্জীবন কারাবাসের রায় দিয়েছেন। সাথে প্রত্যেককে ১০ হাজার করে আর্থিক জরিমানাও করেছেন। অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের কারাবাসের সাজা শুনিয়েছেন।