BRAKING NEWS

ক্রমেই জোরালো হচ্ছে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদকের (সংগঠন) অপসারণের দাবি

কলকাতা, ১৫ জানুয়ারি (হি.স.) : বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণের দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে।

সূত্রের খবর, শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বৈঠকে মূলত এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। জেলা কমিটি ঠিক কীভাবে সাজানো উচিত, তেমন একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে বলেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।কিছুদিন আগেই অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলে দলেরই একাংশ। সেই ঘটনার নেপথ্যে ছিল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে করা অমিতাভবাবুর এক মন্তব্য। সেই বিবাদের জল থিতু হয়নি এর মাঝেই তাঁকে ‘কলঙ্কিত মাতাল’ বলে আক্রমণ করার পাশাপাশি তাঁকে ‘গরু পাচারকারী’ বলেও আক্রমণ করা হয়। সেই মর্মেই পোস্টার পড়ে পূর্ব রেলের শিয়ালদা বনগাঁ শাখার একাধিক লোকাল ট্রেনের কামরায়। আর এই ঘটনা ঘিরেই এখন তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব।

গত বছরের শেষের দিকে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। আর সেই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিজেপির অন্দরের ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে। একের পর এক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ লেগেই রয়েছে। মতুয়াদের সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি, এই অভিযোগে গ্রুপ ত্যাগ করেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক। সেই তালিকা লম্বা করে মতুয়া ‘বিদ্রোহে’ শামিল হন শান্তনু ঠাকুরও। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও ছাড়েন।কেন এই সিদ্ধান্ত, তাও স্পষ্ট করে জানান বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে মোটেও মধুর নয়, তা টের পায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও। জে পি নাড্ডার সঙ্গে ফোনে কথাও হয় শান্তনুর। দিল্লিতে যান তিনি। একাধিকবার বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকও করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *