BRAKING NEWS

ত্রিপুরায় করোনার সংক্রমণ ফেব্রুয়ারীতে সর্বোচ্চ শিখরে যাবে, আশংকা প্রকাশ ডা: তপন মজুমদারের

আগরতলা, ১৪ জানুয়ারি (হি. স.) : সাম্প্রতিক করোনার আক্রান্তের প্রবণতায় নিশ্চিত ত্রিপুরায় ফেব্রুয়ারীতে সংক্রমণ সর্বোচ্চ শিখরে পৌছাবে। এমনটাই আশংকা প্রকাশ করেছেন জি বি পি হাসপাতালের প্রধান মাইক্রো বায়োলজিস্ট ডা: তপন মজুমদার। তাঁর কথায়, দেশে সংক্রমণ সর্বোচ্চ শিখরে পৌছানোর এক থেকে দুই মাস পর ত্রিপুরায় তার প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। অতীতের অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে ত্রিপুরায় করোনার সংক্রমণ শিখরে পৌছানোর জন্য ফেব্রুয়ারীকে বেঁচে নিয়েছেন তিনি। তাই তাঁর মতে, ত্রিপুরায় করোনার আরও তান্ডব দেখার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে আমাদের।


আজ তিনি আশ্বস্ত করেছেন, ত্রিপুরায় এখনো পর্যন্ত ওমিক্রনের প্রমান মিলেনি। তবে, করোনার নতুন প্রজাতির প্রভাব নিয়ে আরও বিস্তারিত পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, ওমিক্রনের একমাত্র প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে তা হল করোনার এই নতুন প্রজাতি অতি দ্রুত ছড়াতে সক্ষম। তবে, ওই ভাইরাসের মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে এখনো আমাদের কোন অভিজ্ঞতা হয়নি, বলেন তিনি।


তাঁর পরামর্শ, করোনার নতুন প্রজাতি সুরক্ষিত থাকতে ভ্রমন কম করুন। গবেষণায় উঠে এসেছে, অতিরিক্ত ভ্রমন করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের ছড়িয়ে পরার পেছনে অন্যতম কারণ। তাই, আমাদের চলাফেরা এবং গতিবিধির উপর অতি রক্ষনশীল হওয়া খুবই জরুরি। সাথে তিনি যোগ করেন, অবশ্যই করোনা-বিধি সকলকে কঠোর ভাবে পালন করা উচিত।


ডা: মজুমদার বলেন, করোনার প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় এখন ত্রিপুরা সরকার অনেকটাই প্রস্তুত এবং আমরা সকলেই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তাছাড়া, ত্রিপুরায় এখন পর্যাপ্ত অক্সিজেন প্ল্যান্ট বসানো হয়ে গেছে, যা করোনা আক্রান্তের চিকিত্সায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রয়োজনীয় উপাদান। তাঁর দাবি, হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো রয়েছে করোনা আক্রান্তের চিকিত্সার জন্য। নতুন করে কোভিড কেয়ার সেন্টার খোলার তেমন প্রয়োজনীয়তা আছে বলে তিনি মনে করেন না। তিনি প্রত্যয়ের সুরে বলেন, করোনা মোকাবিলায় ত্রিপুরা অনেকটাই ভাল অবস্থানে রয়েছে। কিন্ত, তাতে করোনা-বিধি উল্লঙ্ঘনে রাজ্যবাসীকে সুযোগ দেওয়া সম্ভব নয়।


এদিন ডা: মজুমদার পশ্চিমবঙ্গের সাথে বিমান যোগাযোগ নিয়ে উদ্বেগ এবং গভীর চিন্তা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় মারাত্মক বৃদ্ধি হচ্ছে। অন্যদিকে, ত্রিপুরার সাথে পশ্চিমবঙ্গের আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ফলে, করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রচুর যাত্রী পশ্চিমবঙ্গ থেকে ত্রিপুরায় আসছেন। তবে, বিমান বন্দর সহ সমস্ত প্রবেশ দ্বারে ১০০ শতাংশ নমুনা পরীক্ষার ফলে সংক্রমিতদের সহজেই চিহ্নিত করা যাচ্ছে। ত্রিপুরা সরকারের এই সিদ্ধান্তকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *