BRAKING NEWS

এখন তো চোখেই পড়ে না খেজুরের রস বিক্রেতাদের

নিজস্ব প্রতিনিধি, কল্যাণপুর, ১১ জানুয়ারি৷৷ খেজুরের রস লাগেনি ভাই খেজুরের রস লাগেনি৷ আজকের ডিজিটাল যুগে এই শব্দ এখন হারিয়ে যাচ্ছে৷ খেজুরের রস ওয়ালাদের চোখেই পড়ে না এখন৷ শীত জাঁকিয়ে বসেছে৷ চিরাচরিত বৈশিষ্ট্য অনুসারে শীতের রমরমা এই পাহাড়ি ত্রিপুরা রাজ্যে নতুন কিছুনা৷ একটা সময় কল্যাণপুরের  গ্রামীণ জনপদ সমূহে শীতের এই ভরা মরসুমে খেজুরের রসের প্রাচুর্যতা ছিল৷ বিশেষ করে উত্তর মহারানীপুর, পশ্চিম ঘিলাতলীর একাংশে, শান্তিনগর, বাগবের, বৈষ্ণব কলোনির একটা অংশে, কুঞ্জবন সহ বিভিন্ন এলাকায় এলাকায় খেজুরের রস প্রচুর পরিমাণে ছিল৷
বলতে দ্বিধা নেই, আজ থেকে দেড় কিংবা দুই দশক আগে কল্যাণপুরের গ্রামীণ এলাকার সকালগুলো যখন ঘন কুয়াশায় ডুবে থাকত তখন খেজুরের রস বিক্রেতাদের হাঁকে যেমন ছিন্ন হত নিস্তব্ধতার আবরন, ঠিক তেমনি তখনকার সময়ের ছেলে – বুড়ো প্রায় সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন শীতের সকালে তাজা খেজুরের রসের একটু আমেজ নীতে৷ এর সাথে সাথে ঘরে ঘরে খেজুরের রস দিয়ে রকমারি পায়েস তৈরির রমরমারও তখনকার সময়ে একটা বিশেষত্ব ছিল৷
শুধু তাই না, বিরাট সংখ্যক মানুষ সকাল সকাল খেজুরের রস সংগ্রহ করে মাটির ভাঁড়ে করে কাঁধে করে বা বাই সাইকেলে চেপে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে একদিকে যেমন খেজুরের রস পিপাসুদের আনন্দ দিতেন, ঠিক তেমনিভাবে তদানীন্তন সময়ে এই খেজুরের রসকে ভিত্তি করে অর্থনৈতিকভাবেও যে লাভবান হতেন এটা হলফ করেই বলা চলে৷ কিন্তু আধুনিক ত্রিপুরার অন্যান্য প্রান্তের সাথে সাথে কল্যাণপুরের এলাকাতেও খেজুরের রস প্রায় বিলুপ্তির পথে৷ এখন তো চোখেই পড়েনা খেজুরের রস ওয়ালাদের৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *