নিজস্ব প্রতিনিধি, বক্সনগর, ১১ জানুয়ারি৷৷ আজ বিকালে রহিমপুর সীমান্তে ১৫৬ গেইট সংলগ্ণ এলাকায় বিএসএফ জওয়ান কর্তব্যরত অবস্থায় পাচারকারীকে ধাওয়া করলে সীমান্তর ওপারে চলে যায়৷ তখন প্রায় বিকাল তিনটা দশ মিনিট হবে৷পাচারকারীকে ধরার জন্য বাংলাদেশের সাত নম্বর পিলারের কাছাকাছি চলে গিয়েছে জওয়ানরা৷
বাংলাদেশে কর্তব্যরত বিজিবির শশীদল ক্যাম্প সংলগ্ণ এলাকায় পৌঁছ জওয়ানরা৷ বিএসএফ জওয়ান বাংলাদেশের মাটিতে যাওয়াতে ঐ দেশের সাধারণ মানুষ বিএসএফের চার জওয়ানকে আটকে রাখে এবং এই ঘটনা বিজিবির জওয়ান ও বিএসএফের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও সংঘর্ষের রূপ ধারন করছে বলে সুএের খবর৷ এক কথায় মুখোমুখি সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় বসবাসকারী জনগণের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে৷
প্রসঙ্গত, রাজ্যের সীমান্তবর্তী এলাকার মধ্যে সোনামুড়া মহকুমার অন্তর্গত বক্সনগর গোটা সীমান্তেই ঘিরে রয়েছে পাচারকারী মাফিয়া চক্র৷ প্রায় সময় পাঁচার বানিজ্যকে কেন্দ্র করে নিজেরাই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে৷ আবার পাচাঁর কারী ও সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে৷ মামলা ও পালটা মামলা হয়৷ রহিমপুর আশাবাড়ী সীমান্তে প্রহরীর ভূমিকায় রয়েছে ১৫০ ব্যাটিলিয়ান বি এস এফ জোওয়ান৷ গত তিন মাস যাবত বি এসএফ প্রচুর পরিমানে মালামাল আটক করে সাফল্য অর্জন করেছে৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দুসৃকতিদের সাথে এপাড়ের দুস্কৃতিদের যোগাযোগ রয়েছে৷ দুই দেশের পাচারাকারীদের যোগসাজশে রমরমা চলছে পাচার বাণিজ্য৷ প্রায়শই পাচার বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে সীমান্তে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়৷ আবার অনেক ক্ষেত্রে বিএসএফ জওয়ানদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠে৷ অভিযোগে জানা গিয়েছে, সীমান্তে বিএসএফের একাংশের অযথা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন নিরিহ গ্রামবাসীরা৷ এনিয়ে বহুবার সীমান্তে বিএসএফ জনতার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে৷ তবে, পাচার বাণিজ্য রুখতে বিজিবির তরফ থেকে তেমন কোন সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যাচ্ছে না৷ এছাড়া, অভিযোগ রয়েছে বিএসএফের একাংশের সাথে নাকি পাচারকারীদের যোগাযোগ রয়েছে৷ তবে এক্ষেত্রে পাকাপোক্ত কোন তথ্য প্রমাণ নেই৷ গোটা অভিযোগও মৌখিক৷ তবে বিএসএফ পাচার রুখতে সচেষ্ট আছে৷