নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যে রক্তদান একটা উৎসবে পরিণত হয়েছে৷ রক্তদান মানে মানব ধর্ম পালন করা৷ আজকের দিনে মানব ধর্ম পালন করাই হলো সবচেয়ে বড় কাজ৷ আজ জিরানীয়াস্থিত বিবেকানন্দ শিশু নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার রজত জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন এবং স্বামী বিবেকানন্দের ১৫৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিদ্যালয়ে এক রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী৷ তিনি বলেন, রক্তের বিকল্প এখন পর্যন্ত কোনও বিজ্ঞানী আবিষ্কার করতে পারেননি৷ মানুষের মাধ্যমে রক্তদান করে এর চাহিদা পূরণ করা হয়৷ আজ প্রতি দুই সেকেণ্ডে এক ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়৷ রাজ্যে রক্তের বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে৷ বিশেষ করে থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সার, অ্যানিমিয়া, অপারেশনের রোগী কিংবা দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়৷ কারোর প্রয়োজনে রক্ত দিতে পারলে মনে একটা মানসিক শান্তি, তৃপ্তি আসে৷ তিনি স্বামীজীর জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর এই বাণী উচ্চারণ করে বলেন, আমরা কেউই ভগবানকে দেখি না৷ মানুষ রূপেই ভগবান বিদ্যমান৷ মানুষের সেবা করলেই ভগবানকে সেবা করা হলো৷ মানুষকে খুশি করলেই ভগবানকে খুশি করা হলো৷ তাই তিনি রক্তদানের মতো মহৎ কাজে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান৷ তিনি স্বামীজীর জীবন স্মৃতি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন তিনি নিজের জন্য কিছুই করেননি৷ মানুষের জন্য সেবা করে গেছেন৷ তিনি আরও বলেন, রক্তদান একটি সামাজিক কাজ৷ তিনি যুব সমাজকে নেশা থেকে দূরে থাকতে আহ্বান জানান৷ কারণ নেশা হলো একটা অভিশাপ৷ রাজ্য সরকার নেশার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ স্বামীজীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হতে তিনি ছাত্রছাত্রীদের প্রতি আহ্বান জানান৷ তিনি বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা দিতেই এই প্রকল্প আনা হয়েছে৷ তিনি বিদ্যালয়ের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেছেন৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারায়ণ চন্দ্র বসাক৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জিরানীয়া নগর পঞ্চায়েতের ভাইস চেয়ারপার্সন রীতা দাস, কাউন্সিলার দুলাল চন্দ্র দাস, বিদ্যালয় পরিচালন কমিটির সভাপতি তপন দাস, সম্পাদক হারাধন সাহা, বিবেকানন্দ শিশু নিকেতন পাবলিক চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সম্পাদক সুজিত বরণ সাহা প্রমুখ৷ এই রক্তদান শিবিরে ১৬ জন স্বেচ্ছায় রক্তদান করেন৷