আগরতলা, ৬ জানুয়ারি (হি. স.) : ত্রিপুরায় করোনার দৈনিক সংক্রমণ বড় ঝাপ দিয়েছে। সাম্প্রতিককালের মধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। সারা দেশেই গত ২৪ ঘন্টায় করোনার সংক্রমনে মারাত্মক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। ত্রিপুরাও তার ব্যতিক্রম হতে পারল না। স্বাভাবিকভাবেই, ত্রিপুরায় করোনার সংক্রমনে হটাত প্রায় দ্বিগুন বৃদ্ধি রাজ্যবাসীকে গভীর চিন্তায় ফেলবে।
গত ২৪ ঘন্টায় এক লাফে অনেকটা বেড়েছে করোনার সংক্রমণ। সেই সুবাদে দ্বিগুন বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণের হারও। গত ২৪ ঘন্টায় ত্রিপুরায় ৮৩ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। ফলে, দেশ জুড়ে ওমিক্রনের ভয়াবহতার মাঝে ত্রিপুরায় সংক্রমণের হারে বৃদ্ধির প্রবণতায় নিঃসন্দেহে চিন্তা মুক্ত থাকা যাচ্ছে না। অবশ্য সুস্থতার খবরও রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ২২ জন করোনা আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। তাতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হয়েছে ২৫৬ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিন অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরটি-পিসিআরে ৫২৮ এবং রেপিড অ্যান্টিজেনের মাধ্যমে ২৪৮৯ জনকে নিয়ে মোট ৩০১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, আরটি-পিসিআরে ৮ জন এবং রেপিড অ্যান্টিজেনেও ৭৫ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ মিলেছে। সব মিলে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৮৩ জনের শরীরে নতুন করে করোনা সংক্রমণের খোঁজ পাওয়া গেছে। দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ২.৭৫ শতাংশ। গতকাল ৪৬ জনের দেহে নতুন করে করোনার সংক্রমণের খোজ মিলেছিল এবং দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৬২ শতাংশ।
এদিকে, সুস্থতা কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়ে চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন করোনা সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাতে বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত সক্রিয় রোগী রয়েছেন ২৫৬ জন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ৮৫২৯৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৮৪১৪৮ জন সংক্রমণ থেকে মুক্তি পেয়ে সুস্থ হয়েছেন। রাজ্যে বর্তমানে করোনা-আক্রান্তের হার হয়েছে ৩.৯০ শতাংশ। তেমনি, সুস্থতার হার হয়েছে ৯৮.৭৩ শতাংশ। এদিকে ০.৯৭ শতাংশ হয়েছে মৃত্যুর হার। গত ২৪ ঘণ্টায় কারোর মৃত্যু না হওয়ায় এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় ৮২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য দফতরের মিডিয়া বুলেটিনে আরও জানা গিয়েছে, পশ্চিম জেলাই করোনা সংক্রমণে শীর্ষস্থান দখলে রেখেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে পশ্চিম জেলায় ৪৭ জন, উত্তর জেলায় ৯ জন, সিপাহীজলা জেলায় ১ জন, দক্ষিণ জেলায় ৭ জন, ধলাই জেলায় ৬ জন, ঊনকোটি জেলায় ১০ জন, খোয়াই জেলায় ১ জন এবং গোমতি জেলায় ২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
দীর্ঘ সময় করোনা শান্ত থাকার পর গত তিন দিন ধরে গুটি গুটি পায়ে বেড়ে চলেছে। এই বৃদ্ধি এখনই নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে আগামীদিনে ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে বিশেষভাবে প্রয়োজন জন সচেতনতা। কোভিড বিধি মেনে চলার প্রবণতা এখনো মানুষের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। তাই, প্রশাসনের কঠোর ভাবে এই পরিস্থিতিকে মোকাবিলা করতে হবে।