আগরতলা, ৪ জানুয়ারি : নাবালিকা ধর্ষণ কাণ্ডে অভিযুক্ত যুবককে শেষ পর্যন্ত আটক করতে সক্ষম হলো তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ। ইংরেজি নববর্ষের দিন বিদ্যালয় থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে ১৩ বছর বয়সের এক নাবালিকাকে রাস্তায় একা পেয়ে পাশের নির্জন জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠে প্রাণেশ রুদ্রপাল নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে মাঠে নামলেও অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। পুলিশ মামলা নিয়ে ঘটনা তদন্তে নামে। ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৭৬ ও ৪ পস্কো ধারায় মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ অভিযুক্ত যুবকের এক ভাই ও এক নিকট আত্মীয়কে থানাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। এর পরেই রাত দশটা নাগাদ তুইসিন্দ্রাই থেকে অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
দাবি উঠেছে অবিলম্বে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার। এদিকে ধর্ষণকারীর কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার থানা ঘেরাও করে তেলিয়ামুড়া থানাধীন করকরি এলাকার গ্রামবাসীরা। অপরদিকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নিকট এস.এফ.আই এবং ডি.ওয়াই.এফ.আই-এর তরফ থেকে এক প্রতিনিধি দল অভিযুক্ত’কে কঠোর শাস্তির দাবিতে ডেপুটেশন প্রদান করে মঙ্গলবার সকালে।
খবরে জানা গেছে, চলতি মাসের ১ তারিখ তেলিয়ামুড়া থানা এলাকার তুইসিন্দ্রাই করকরি এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয়েছিল এক ১৩ বছর বয়সি নাবালিকা। সেই নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছিল একই এলাকার প্রানেশ রুদ্রপাল এবং তাকে সহায়তা করেছিল এলাকার অপর আরেক যুবক প্রসেনজিৎ মালাকার। এমনটাই অভিযোগ এলাকাবাসীর। পরবর্তীতে তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ সোমবার রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক প্রাণেশ রুদ্রপালকে গ্রেফতার করে তেলিয়ামুড়া থানায় নিয়ে আসে।
এ প্রসঙ্গে ডি.ওয়াই.এফ.আই মহকুমা কমিটির সম্পাদক রঞ্জু দাস বলেন, আমরা দেখেছি বিগত দিনে তেলিয়ামুড়া মহকুমায় মহারানীপুর এলাকায় এক নাবালিকা এবং উত্তর মহারানী এলাকায় উপজাতি এক কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এবিষয়গুলি নিয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। করকরি এলাকায় যে ১৩ বছর বয়সি নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছে ওই নাবালিকার পরিবার যেন আইনিভাবে সাহায্য-সহযোগিতা পায় তার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। একটা সময় তেলিয়ামুড়া থানায় এলাকাবাসীদের আন্দোলন তেজী হতে থাকে। ঘটনার খবর যায় তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনাচরণ জমাতিয়ার নিকট। পরবর্তীতে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের আশ্বাসে থানা ঘেরাও মুক্ত হয় মঙ্গলবার বারোটা নাগাদ।
থানা ঘেরাও করতে আসা করকরি এলাকার মহিলারা অভিযোগ করে বলেন, শাসক দলের নেতার ভাতৃষ্পুত্র হওয়ার সুবাদে প্রানেশ এলাকায় বহু অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সেক্ষেত্রে কোন প্রকার সুষ্ঠ-বিচার পাচ্ছে না এলাকার সাধারণ মানুষ জন। প্রানেশের কারণে অতিষ্ঠ এলাকার সাধারন জনগন। মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রানেশ রুদ্রপাল’কে খোয়াই আদালতে প্রেরণ করা হয়।