আগরতলা, ৩ জানুয়ারি (হি. স.) : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে ত্রিপুরায় এলাহী আয়োজন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে বিমানবন্দর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত রাস্তায় ৫টি স্থানে ত্রিপুরার নিজস্ব সংস্কৃতির মিশ্রণে নাচ ও গানের প্রদর্শনী করা হবে। উত্তর ও দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা থেকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার সাক্ষী থাকার জন্য মানুষের সাচ্ছন্দের বিষয়টি মাথায় রেখে দুইটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এমবিবি বিমান বন্দরের নবনির্মিত টার্মিনালের উদ্বোধন করবেন। পাশাপাশি দুইটি যোজনার সূচনা করবেন তিনি।
বহু প্রতিক্ষিত এমবিবি বিমানবন্দরের নব নির্মিত টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন করবেন। সাথে মিশন ১০০ বিদ্যাজ্যোতি স্কুলস এবং মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা গ্রাম সমৃদ্ধি যোজনার সূচনা করবেন তিনি। আগামীকাল বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের উদ্বোধন শেষে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে ওই দুইটি প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল দুপুর দেড়টা নাগাদ আগরতলায় আসবেন। স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে অনুষ্ঠান শুরু হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ইতিমধ্যে প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে। বহু স্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড করা হচ্ছে। মঞ্চ তৈরীর কর্জও ইতিমধ্যে সমাপ্ত হয়েছে। তাছাড়া স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে মানুষের বসার জন্য চেয়ার, চারিদিকে ফ্লেক্স লাগিয়ে সাজানো প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে। প্রচুর পুলিশ ও টিএসআর জওয়ানরা ময়দান চত্বরে নিরাপত্তার প্রশ্নে মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন। রাতে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে সরেজমিনে প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেছেন। কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক গতকাল রাতেই বিমান বন্দর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত সাজসজ্জা খতিয়ে দেখেছেন।
আগামীকাল দুইটি প্রকল্পের সূচনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন ত্রিপুরার রাজ্যপাল সত্যদেও নারেইন আর্য, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব, কেন্দ্রীয় বেসামরিক পরিবহণ মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেব্বর্মা এবং কেন্দ্রীয় প্রতি মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক।
আজ আগরতলায় সকাল ১১টায় বিমানবন্দর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত কনভয়ের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাছাড়া, সীমান্তে কড়া নজরদারি রাখছে বিএসএফ। বিধায়ক ডা: দিলীপ কুমার দাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে কোন ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। বিমান বন্দর থেকে স্বামী বিবেকানন্দ ময়দান পর্যন্ত রাস্তা ইতিমধ্যে ফ্লেক্স দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। তাছাড়া, ওই রাস্তায় ৫টি স্থানে সাধারণ জনগণ এবং বিজেপি কার্যকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল ছিটিয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন। শুধু তাই নয়, ত্রিপুরার নিজস্ব সংস্কৃতির মিশ্রণে নাচ ও গানের প্রদর্শনী করা হবে। প্রধানমন্ত্রী ফিরে যাওয়ার সময়ও ওই প্রদর্শনী থাকবে।
এদিকে, আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নেওয়ার জন্য উত্তর ও দক্ষিণ ত্রিপুরা থেকে আগতদের সুবিধার্থে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের অনুরোধে পূর্বোত্তর সীমান্ত রেলওয়ে ত্রিপুরার জন্য দুইটি বিশেষ ট্রেন দিয়েছে। একটি ট্রেন সকাল সাড়ে ৭টায় ধর্মনগর থেকে এবং আরেকটি ট্রেন সকাল সাড়ে ৮টায় সাব্রুম থেকে আগরতলার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবে। ওই দুইটি ট্রেন বিকেল পাঁচটায় ফিরে যাবে।