ধর্মনগর, ২ জানুয়ারি : স্টিল ব্রিজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য ধর্মনগর নগর পঞ্চায়েত যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী। তিন শতাধিক এলাকাবাসীর যোগাযোগের একমাত্র স্টিল ফুট ব্রিজটি তুলে নিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্তে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে। ঘটনা পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত এলাকায়।
জানা গেছে, পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত এলাকার এক নং ও ৪নং ওয়ার্ড এলাকায় মধ্যবর্তী স্থানে একটি ছড়া রয়েছে। ২০১০ সালে পানিসাগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শীতল দাসের তৎপরতায় ছড়াটির উভয় পাশের মানুষের যোগাযোগের জন্য দশ লক্ষ টাকা ব্যায়ে একটি স্টিলের ফুটব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে এই ব্রিজটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ব্রিজের উপরের স্টিলের ছাউনী প্রায় ভেঙে গেছে। ফলে এলাকাবাসী সাংঘাতিক অসুবিধার মধ্যে ব্রিজ দিয়ে চলাফেরা করছেন।
প্রতিদিন ব্রিজ দিয়ে এলাকাবাসী গরু মহিষ নিয়ে মাঠে চাষ করতে যান। ব্রিজের এই বেহাল দশায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এনিয়ে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময়ে ব্রিজের মেরামতির জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ। উল্টো এলাকাবাসী জানতে পারেন, ওই ব্রিজের সংস্কারের পরিবর্তে ব্রিজটি অন্যত্র স্থানান্তরিত করবে বলে বর্তমান নবনির্মিত পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এলাকাবাসীর বক্তব্য, এই ব্রিজের উপর দিয়ে প্রতিদিন এলাকার দুই থেকে তিন শতাধিক মানুষ ওপারে গরু-মহিষ নিয়ে কৃষি কাজ করতে যান। ব্রিজটি এখান থেকে সরিয়ে নিলে এলাকার মানুষের দুরবস্থার অন্ত থাকবে না বলে এলাকাবাসীর দাবি। এই ব্রিজ অন্যত্র স্থানান্তরিত না করে নগর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ যেন ব্রিজের সংস্কার করে চলার উপযোগী করে। অন্যথায় যেকোনো সময় ব্রিজের ভগ্নদশায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই এলাকাবাসীর দাবি, ওই ব্রিজেটি অন্যত্র স্থানান্তরিত না করে শীঘ্রই যেন ব্রিজের মেরামতের কাজ করা হয়।
এদিকে, বিষয়টি জানাজানি হলে ১ জানুয়ারি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পানিসাগরের বর্তমান সিপিআইএম নেতৃত্ব শীতল দাস, অজিত দাস সহ অন্যান্যরা। তারাও ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্রিজের গুরুত্বের কথা ভেবে পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে ব্রিজের সংস্কারের দাবিতে নগর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং ওই ব্রিজটি যথাস্থানে রেখে অন্যত্র যেন প্রয়োজনে নতুন ব্রিজ নির্মাণ করা হয় তার জন্য নগর পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি রাখেন।