কল্যাণপুর, ১ জানুয়ারি : একদিকে শীতকালীন সবজিতে এবার ফলন কম হয়েছে। অন্যদিকে দু দুবারের অকাল বর্ষণের সরাসরি প্রভাব পড়েছে সবজি উৎপাদনের ক্ষেত্রে। যার ফলে গোটা কল্যাণপুরের কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে পরিচিত ঘিলাতলী, দক্ষিণ ঘিলাতলী , কমলনগর, শান্তিনগর দ্বারিকাপুর সহ কুঞ্জবনের বিস্তীর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে সবজি ক্ষেত অনেকটাই করুণ অবস্থায় রয়েছে এবং কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে অন্যান্য বছর এই সময়ে যেভাবে উৎপাদন হতো এবার তার অর্ধেকও হয়নি। এছাড়া অকাল বর্ষণ একটা বড় ফ্যাক্টর ছিল বলে জানান কৃষকরা।
একদিকে মানুষের চাহিদা বাড়ছে অন্যদিকে ফলন কম হচ্ছে, তার উপর মরার উপর খরার ঘা, অকাল বর্ষণের ফলে ক্ষতিতে প্রায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সবজির দাম। হিসেব মিলিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন বাজার গুলোর মধ্যে ফুলকপি এখনো ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধনেপাতা এখনো দুশো টাকার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করছে। এছাড়া বিভিন্ন শাক সবজির দামও সমান্তরালভাবে যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে ঠিক তেমনি আমদানি করা বিভিন্ন সবজি যেমন টমেটো, কোয়াশ, গাজর এগুলোর দামও আকাশছোঁয়া হয়ে রয়েছে।
বিভিন্ন সামগ্রীর চড়া দামের সাথে এবার যোগ হয়েছে শীতকালীন সবজিতে মূল্যবৃদ্ধি। ফলে নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের যেমন মাথায় হাত, ঠিক তেমনি প্রচুর টাকা খরচ করে সঠিক দাম না পেয়ে কৃষকরা অনেকটাই ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন বলা চলে। বাজার ঘুরলেই মানুষের দুর্দশার করুন চিত্র চোখে পড়ছে। ব্যবসায়ীদের মতে, অতিরিক্ত মূল্যের জন্য মানুষ প্রয়োজন বেশি হলেও অল্প মাত্রায় বাজার করছেন। অন্যদিকে কৃষকদের বক্তব্য, যে টাকা খরচ করে সার সহ বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগ করে ফসল ফলানো হয়েছে সে টাকার অর্ধেকও এবার ঘরে আসবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে সন্দেহ।
সব মিলিয়ে বলা চলে গোটা রাজ্যের সাথে সংগতি বজায় রেখে কল্যাণপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শীতকালীন সবজির অগ্নিমূল্যে একদিকে যেমন দিশেহারা কৃষক সমাজ ঠিক তেমনি দ্রব্যমূল্যের জেরে জেরবার নিম্ন মধ্যবিত্তের আর্থ সামাজিক অবস্থাও।