BRAKING NEWS

Cyclone : ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’র প্রভাব পড়বে রাজ্যেও প্রস্তুত থাকতে জেলা শাসকদের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ ডিসেম্বর৷৷ ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এর প্রভাবে রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসকে সামনে রেখে রাজ্য সরকারের রাজস্ব দপ্তরের তরফ থেকে প্রতিটি জেলার জেলাশাসককে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ ৫ ও ৬ ডিসেম্বর রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷


জানা গিয়েছে, অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাব পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ পূর্বাভাস দিয়ে সতর্ক করেছে গুয়াহাটির বড়ঝাড়ে অবস্থিত আঞ্চলিক আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতর৷
আঞ্চলিক আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতরের আরও পূর্বাভাস, ভারী বৃষ্টিপাত সহ ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর প্রভাবে অসম সহ গোটা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে হাঁড় কাঁপানো শীত পড়বে৷ দফতর বলেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ২৫ কিলোমিটার গতিবেগে জাওয়াদ-এর প্রভাবে আজ ৪ ডিসেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে, বিশেষ করে ৫ ডিসেম্বর অসম, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম এবং ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে৷ ইতিমধ্যেই সাগরীয় ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’-এর ফলে ওড়িশা, অন্ধপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত৷


প্রসঙ্গত, আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দূরবর্তী স্থানে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ ‘জাওয়াদ’ ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে৷ আগামী ৫ ডিসেম্বর সকাল অথবা বিকেলের দিকে ওড়িশার উপকূল এলাকায় আছড়ে পড়বে ‘জাওয়াদ’৷ এর প্রভাব অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও পড়বে৷ তবে, ওড়িশা কিংবা পশ্চিমবঙ্গে মতো ব্যাপক প্রভাব অসম সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পড়ার সম্ভাবনা না থাকলেও সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছেন আঞ্চলিক আবহাওয়া বিজ্ঞান দফতরের বিজ্ঞানীরা৷


ঘূর্ণিঝড় ’’জাওয়াদ’’-এর প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয়েছে হালকা বৃষ্টি৷ উত্তাল হয়ে ওঠে সমুদ্র, তবে জল গার্ডওয়াল টপকে যায়নি৷ আগেভাগেই পর্যটকদের সমুদ্রে নামায় জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা৷ সকাল থেকেই নজরদারি চালায় প্রশাসন৷ হুইসল বাজিয়ে সতর্ক করা হয়৷ সমুদ্রের ধারেকাছে কাউকে যেতে দেওয়া হয়নি৷


ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়৷ বৃষ্টিতে ক্ষতি হতে পারে ফসলের৷ তাই ফসলের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে গ্রামে গ্রামে মাইকে প্রচার চালায় কৃষি দফতর৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের কৃষিপ্রধান এলাকা ঘাটাল, চন্দ্রকোণা, দাসপুরে কৃষকদের সচেতন করা হয়৷ জমিতে থাকা পাকা ধান দ্রুত কেটে নিয়ে গুদামে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়৷ আলু ও সবজি চাষিদেরও নিকাশি পরিষ্কার রাখার জন্য সতর্ক করা হয়৷ সেই মতো ধান ও অন্যান্য সব্জি কেটে ফেলেন কৃষকরা৷ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার নারায়ণগড় ব্লকেও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় ধান কাটা৷ বৃষ্টির মধ্যেই মাঠ থেকে ফসল কেটে নেন কৃষকরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *