BRAKING NEWS

Living in Tanghar : টংঘরে জীবন কাটছে মঙ্গলতি রিয়াংয়ের

বিশেষ প্রতিবেদন, তেলিয়ামুড়া, ৩০ নভেম্বর৷৷ আজ আমি ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধা মহিলা৷ এই মহিলা এক সাক্ষাৎকারে বলতে গিয়ে, ১৩ বছর বয়সে বিয়ে৷ মেয়ের বিয়ে ছেলে বিয়ে করে এখন আমি বলতে গেলে ৯০ বছরের বৃদ্ধা৷ সরকারের কাছে এখনো আমি হাঁটতে পারি৷ হাঁটতে ও কষ্ট হয় না৷ তাই কাজকর্ম ও আগের মত করতে পারি৷ জুমচাষ কিংবা বাঁশ কাটতে এখনো পারি৷এমনটাই বললেন, ৯০ বছর বয়সি বৃদ্ধা মঙ্গলতি রিয়াং৷ তবে বার্ধক্যের ঝাঁপ পড়ে গেছে এই বৃদ্ধার৷ তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের কাঁকড়া ছড়া এডিসি ভিলেজের বাইগন সিং পাড়া৷এ পাড়ার প্রত্যেকটি পরিবারই আর্থিক ব্যবস্থায় ভাটার টান৷ আর এই পরিবার গুলির মধ্যে দীর্ঘ নয় দশক ধরে মঙ্গলতি রিয়াং বসবাস করে আসছে৷


সরকারের কাছে বারবার তার সমস্যাগুলির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল করে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ ফলে নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে আঁখি ভরা জলে৷দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর পূর্বে কোন এক অজানা রোগে মৃত্যু হয়েছিল তার স্বামী৷ খুবই কষ্ট এবং দরিদ্রতার মধ্যে থেকে ৯০ বছরে পা দিয়েছে মঙ্গলতি রিয়াং৷ তেলিয়ামুড়া শহর থেকে চড়াই-উৎরাই পাহাড়ি পথ পার করে যেতে হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের বাইগন সিং রিয়াং পাড়াতে৷ ওই পাড়ায় প্রত্যেকটি পরিবারে অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের জন্য নিত্যদিন সংগ্রাম করেতে হয়৷ তার মধ্যে যদি সরকারি সাহায্য তাদের ভাগ্যে না জুটে তবে ভাগ্যের পরিহাস কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সবার জানা৷ মঙ্গলতি রিয়াং এর অবস্থা বর্তমানে ছেড়ে দে মা কেঁদে মরি৷ বিগত সরকারের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর পাওয়ার জন্য বহুবার আবেদন-নিবেদন জানিয়ে আসছিল সেই নববই বছর বয়সী বৃদ্ধা মঙ্গলতি রিয়াং৷ কিন্তু বধীর প্রশাসনের কানে পৌঁছায় নি বৃদ্ধার আবেদন-নিবেদন৷ ফলে বাধ্য হয়ে ছনবাসের কুঁড়ে আধ ভাঙ্গা টং ঘরে জীবনের ৯০ বছর পার করে দিয়েছে মঙ্গলতি রিয়াং৷


ঝড় তুফানে খুবই কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন গুজরান করতে হয় বৃদ্ধা মহিলাকে৷চেয়ে ছিলেন বাধ্যক্য ভাতা৷ সরকারিভাবে বাধ্যক্য ভাতা পেয়ে থাকলেও সেই ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে তোলার মতো টাকা নেই৷ কারন সে ভাতা ব্যাংক থেকে তুলতে গেলে ২০০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিতে হয়৷ ফলে দীর্ঘ এক মাস ধরে ভাতা তুলতে যান না মঙ্গলতি রিয়াং৷ এদিকে তিনি আরো অভিযোগ করে জানান, রেশন সামগ্রী রেশনের তুলতে গেলে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ধরে রেশন সামগ্রী তুলতে পারছে না৷ রেশন দোকানে ডিলারকে বারবার আবেদন-নিবেদন জানিও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না৷ সেই বৃদ্ধা আরো বলেন, বাধ্যকতা ছাপ মধ্যেও আধো-আধো যে কাজ করতে পারে তাতেই তার ব্যক্তিগত সংসারের উপার্জন৷ আদতে হবে কি সেই বৃদ্ধা মহিলার মনের বাসনা৷ নাকি সরকারি সাহায্যের আশায় চাতিরুং রিয়াং এর মতো জুম চাষের জমিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ হবে তাকে৷ এখন দেখার বিষয় বর্তমান সরকার বৃদ্ধা মঙ্গলতি রিয়াং৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *