জয়পুর, ৩০ নভেম্বর (হি. স.) : বিধবা বৃদ্ধাকে ধর্ষণ করে খুনের অপরাধে অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনাল রাজস্থানের আদালত। বিচারক সুরেন্দ্র কুমার তাঁর শুনানিতে জানিয়েছেন, ”সভ্য সমাজে বসবাস করার উপযুক্ত নয় অভিযুক্ত।”
রাজস্থানের হনুমানগড় জেলার পিলিবাঙ্গায়, ১৯ বছর বয়সী যুবক সুরেন্দ্র মেঘওয়াল ওরফে মান্দিয়া, ৬০ বছর বয়সী বিধবা মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ এবং হত্যা করে। সাত দিন সময়ের ব্যবধানে এই মামলার তদন্ত শেষ করেছে রাজস্থান পুলিশ। ঘটনার হনুমানগড়ের জেলা ও দায়রা আদালত ৭৪ দিনের মধ্যে মামলার রায় ঘোষণা করে । বিচারক সুরেন্দ্র কুমার অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাতে গিয়ে বলেন, “সভ্য সমাজে বসবাস করার উপযুক্ত নয় অভিযুক্ত।” মান্দিয়াকে ৬৬ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ।
গত সেপ্টেম্বরে রাজস্থানের পিলবাঙ্গা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ১৯ বছরের মান্দিয়াকে। জানা গিয়েছিল, বছর তিনেক আগে বিধবা মহিলার স্বামী মারা গিয়েছিলেন। তিনি বাড়িতে একাই থাকতেন। এই অবস্থায় মদ্যপ মান্দিয়া চড়াও হয় ওই মহিলার উপরে। তাঁকে ধর্ষণ করে এরপর গলা টিপে খুন করে সে। বৃদ্ধার আত্মীয় পিলিবাঙ্গা থানায় হত্যা ও ধর্ষণের মামলা করেছিলেন। এরপর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ অভিযুক্ত সুরেন্দ্রকে গ্রেফতার করলে জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযুক্ত জানায়, মদ্যপান করে বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন করে। এর পর সেখান থেকে ধৃত পালিয়ে যায়। যদিও, তল্লাশিতে পুলিশ ধৃতকে গ্রেফতার করে ফেলে।
ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে মামলা দায়ের হলে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা প্রমাণই দ্রুত ধরিয়ে দিল অপরাধীকে। মৃতার হাতের মুঠোয় ছিল ধৃতের চুলের গোছা। এছাড়াও তার বীর্যের নমুনাও ঘটনাস্থলে পেয়েছিল পুলিশ। এর ফলেই দ্রুত ওই তরুণের বিরুদ্ধে চার্জ শিট আনতে পেরেছিল পুলিশ।