নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৯ অক্টোবর ।। রাজ্যের বিকাশে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছে সরকার। রাজ্যের উন্নয়ন তরান্বিত করতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান মনস্ক করে তুলতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আজ সুকান্ত একাডেমিতে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা ইনোভেশন হাব- এর উদ্বোধন করে একথা বলেন। নতুন ইনোভেশন হাব ও হাইড্রোপলিক গ্যালারির উদ্বোধন করে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, আজ সুকান্ত একাডেমিতে যে নতুন ইনোভেশন হাব এর সূচনা হল সেটা যেন শুধু প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহৃত না হয়। এখানে সারা রাজ্য থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসে যাতে নুতন কিছু উদ্ভাবন করতে পারে সে বিষয়টির দিকে কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে হবে। রাজ্যের প্রতিটি জেলায় এধরণের ইনোভেশন হাব গড়ার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। তিনি বলেন, আমাদের নতুন শিক্ষা নীতিতে বলা আছে হাতে কলমে শিক্ষা নিতে। পাঠ্য বই থেকে আমরা তথ্য পাই। কিন্তু অভিজ্ঞতা পাই ইনোভেটিভ আইডিয়া থেকে।
অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নতুন নতুন উদ্ভাবনী ভাবনা শুধুমাত্র বিজ্ঞানী, ইসরো বা আইসিএআর থেকে আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। ছাত্রছাত্রীরাও অনেক কিছু উদ্ভাবন করতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি ত্রিপুরার বাঁশ ব্যবহার করে নতুন-নতুন জিনিস তৈরী করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, বায়ো টেকনোলজি কাউন্সিল থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাবিদ্যালয়ে আমরা একটা নতুন ইনোভেটিভ আইডিয়া গ্রহণ করেছি। একটা গ্রামকে মাশরুম চাষের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলাপাতায় কিভাবে মাশরুম চাষ করা যায় তা আবিষ্কার করেছে ছাত্রছাত্রীরা। উল্লেখ্য, দেশে এর আগে ৩৬ টি ইনোভেশন হাব ছিল। সুকান্ত একাডেমির ইনোভেশন হাবটি দেশের ৩৮ তম ইনোভেশন হাব।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের সচিব অপূর্ব রায়, কলকাতাস্থিত ন্যাশনাল কাউন্সিল অব সায়েন্স মিউজিয়ামের অধিকর্তা ইন্দ্রনীল সান্যাল, ত্রিপুরা স্টেট কাউন্সিল ফর সায়েন্স ও টেকনোলজির মেম্বার ডেপুটি সেক্রেটারী বি চক্রবর্তী ও উচ্চ শিক্ষা দপ্তরের অধিকর্তা এন সি শর্মা। সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও পরিবেশ দপ্তরের অধিকর্তা অনিমেষ দাস।