নয়াদিল্লি, ২৫ আগস্ট (হি.স.) : রাজ্য সরকার পেগাসাসকাণ্ড নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশনের বিষয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দিল, নিরাপত্তার স্বার্থেই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। ফোনে আড়ি পাতা নিয়ে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতেই এই কমিশন গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করল রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, পেগাসাসকাণ্ড নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে কমিশন গঠন করেছিল। সেই কমিশনের মাথায় বসানো হয়েছিল দুই অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এমবি লোকুর এবং বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকে। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারকে বলেছিল, কী কারণে কমিশন সে ব্যাপারে হলফনামা দিয়ে জানাতে। তারই এদিন হলফনামা পেশ করে রাজ্য সরকার।
গত মাসে দিল্লি যাওয়ার দিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বড় ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের বাদল অধিবেশন যখন পেগাসাস স্পাইওয়্যার নিয়ে উত্তাল তখন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী একটি বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তা নিয়েই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। প্রসঙ্গত, যেদিন মমতা এই কমিশন ঘোষনা করেছিলেন, সেদিনই আইনজ্ঞদের কেউ কেউ এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, পেগাসাস একটি আন্তর্জাতিক ইস্যু। এখানে রাজ্য সরকারের কোনও এক্তিয়ার নেই কমিশন গঠন করার।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, রাজ্যে কাদের কাদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে তা তদন্ত করবে দুই প্রাক্তন বিচারপতির কমিশন। পেগাসাসে কাদের ফোনে আড়ি পাতা হয়েছে তার বিরাট তালিকা নিয়ে হইহই পড়ে গিয়েছিল। তাতে নাম ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ভোট কৌশূলী প্রশান্ত কিশোরের। সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বিষয়ে কোনও রাজ্য সরকার তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারে কি না। রাজ্যের এক্তিয়ার নিয়েই এই মামলা দায়ের হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট এ ব্যাপারে কমিশনকে তদন্ত বন্ধ করার কথা বলেনি। শুধুমাত্র রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছিল। এদিন তা শীর্ষ আদালতে জমা দিল নবান্ন।