BRAKING NEWS

Work culture of the food department : উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে খাদ্য দপ্তরের কর্মসংস্কৃতি লাঠে উঠেছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ আগস্ট।। উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরে খাদ্য দপ্তরের কর্মসংস্কৃতি লাঠে উঠেছে। এই বিতর্কিত দপ্তরটির কার্যালয় হল উত্তর জেলার সদর ধর্মনগরে । ধর্মনগর মহকুমার অন্তর্গত সাধারন জনগন ন্যায্যমূল্যের দোকানের পারিবারিক রেশন কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে ধর্মনগর দপ্তরের অফিসে এসে চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ। বারবার প্রতিবাদ ও অভিযোগ করলেও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। খাদ্য দপ্তরের কতিপয় কর্মচারী মহকুমার সাধারন জনগনের সঙ্গে অন্যায় ভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে।

সাধারন জনগণের অভিযোগ,ধর্মনগর খাদ্য দপ্তরের কতিপয় কর্মচারী কর্তৃক চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন পারিবারিক রেশন কার্ডের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে যাওয়া মহকুমা এলাকার জনগণ। অফিসে নতুন রেশন কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্ত করাতে গেলে কতিপয় কর্মচারী দ্বারা এক মাস,দু মাস,তিন মাস তো কেউ আবার লাগামহীন তারিখের বেড়াজালে পড়ছেন।পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী খাদ্য দপ্তরের অফিসে গেলে দপ্তরের বাবুদের দেখা পাচ্ছেন না সাধারণ জনগণ।ধর্মনগর সদর মহকুমা অফিসের কার্যালয়ের পাশেই ধর্মনগর খাদ্য দপ্তরের অফিসটি অবস্হিত হলেও কতিপয় কর্মচারীর অফিসে আসা যাওয়া হয় মর্জিমাফিক। ধর্মনগর খাদ্য দপ্তরের অফিসের কতিপয় কর্মচারীর এহেন কর্মকাণ্ডে গত শনিবার জনগন প্রতিবাদ জানালে উপাধ্যক্ষ তথা ধর্মনগরে বিধায়ক বিশ্ব বন্ধু সেন ঘটনাস্থলে এসে সাধারণ জনগণকে আশ্বস্ত করেন।সাথে স্বয়ং এসডিএম কমলেশ ধরকে ঘটনাটি অবগত করেন। আশ্বস্ত করা হয় ধর্মনগর ফুড অফিসে এসে কোন মানুষ হয়রানির শিকার হবেন না। কিন্তু সমস্যা রয়ে গেল সেই তিমিরেই।

আশ্বাসের একদিন কাটতে না কাটতেই আজ ধর্মনগর ফুড অফিসে পারিবারিক রেশন কার্ডের নাম অন্তর্ভুক্ত করতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন হলেও অফিস কক্ষে কোন কর্মচারীর দেখা পাওয়া যায়নি। অবশ্য শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অপর একটি ঘরে খোঁজ মিলল জনাকয়েক ফুড দপ্তরের কর্মচারীকে। যদিও সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে উনারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, গোটা উত্তর জেলার মধ্যে ধর্মনগর ফুড অফিস সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট ও বদনাম করার ফন্দি এঁটে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। ভুক্তভোগী জনগণ অভিযোগ করে বলেন, ধর্মনগর ফুড অফিসে নাকি দালালদের আনাগোনা।দালালকে মোটা অংক দিলে রাতারাতি ফুড অফিসের সকল কাজ সেরে নেওয়া যায়।আর সাধারণ দরিদ্র মানুষ মোটা অংকের প্রণামী না দেওয়াতে তাদের দিনের পর দিন বিভিন্ন বেড়া জালের ফাঁদে ফেলে ঘোরপাক করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগীদের আরো অভিযোগ,অধিকাংশ সময়ে ধর্মনগর ফুড অফিসের কর্মচারীরা অফিস কক্ষের বাইরে সময় কাটান। অনেকে আবার অফিসেই পা রাখেন না। ভুক্তভোগী জনগণের অভিযোগ, সাধারণ জনগণ বারবার অভিযোগ করলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তর কেন ধর্মনগর ফুড অফিসের কতিপয় কর্মচারী বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না?তা সন্দেহজনক।


যদি রাজ্য সরকার ধর্মনগর ফুড অফিসের কর্মচারী কর্তৃক মহকুমাবাসিকে হয়রানির হাত থেকে মুক্ত না করেন,তাহলে আগামী দিনে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে উনারা তীব্র প্রতিবাদে সামিল হবেন। এখন দেখার বিষয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ধর্মনগর ফুড অফিসের কতিপয় দুষ্টু কর্মচারীর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *