BRAKING NEWS

Wild elephants are moving to the locality : পাহাড়ে খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ায় বন্য হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে চলে আসছে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩ অগাস্ট।। বন্য হাতির তাণ্ডবে দিশেহারা আঠারো মুড়ার পাদদেশে বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন। পাহাড়ে খাদ্যাভাব দেখা দেওয়ায় বন্য হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে প্রতিনিয়ত লোকালয়ে চলে আসছে। তারা কৃষকদের ফসল নষ্ট করছে বাড়িঘর ভাঙচুর করে দিচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্য দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের অধীনে বিস্তীর্ণ এলাকার জনগণ।বনকর্মীদের খবর পাঠানো হলেও সময় মতো বনকর্মীরা হাতি তাড়ানোর কাজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

খবরে জানা যায়, তেলিয়ামুড়া মহকুমা বনদপ্তরের অধীনে বালুছড়া ফুলবাসী দাসপাড়া স্কুল সংলগ্ন এলাকায় এবং মধ্য কৃষ্ণপুর এলাকায় সোমবার সন্ধ্যা রাত থেকেই বন্য দাঁতাল হাতির দল এলাকায় কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন সব্জি ক্ষেত সহ বাড়িঘরে ধ্বংস লীলা চালায়। এতে উৎপাদিত বিভিন্ন সব্জি নষ্ট হয়ে যায়। এলাকাবাসী সূত্রে অভিযোগ বনদপ্তর থেকে হাতি তাড়ানোর কাজের জন্য যে বাজি পটকা দেওয়া হয় সেগুলো গুণগতমানসম্পন্ন নয় এবং হাতি তাড়ানোর কাজে স্বল্প পরিমাণে বাজি পটকা দিয়ে কিছুই হয় না। তাছাড়া ওই এলাকার ফরেস্ট বিট অফিসার সময় মত ঘটনাস্থলে যায় না বলে অভিযোগ।

এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ করে জানানো হয়েছে, বনদপ্তর থেকে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে আসে কোন হাতিয়ার ছাড়াই। অনেকটা ঢাল তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দারের মতো।অথচ রাতের পর রাত জেগে এলাকাবাসীরা পাহারা দিচ্ছে বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে।সেইসাথে বনদপ্তর থেকে হাতি তাড়ানোর কাজে নিযুক্ত গ্রামীণ এলাকার ভলান্টিয়াররা অভিযোগ করে জানায়,বনদপ্তর থেকে তাদের যে পরিমাণে বাজি পটকা প্রদান করা হয় সেগুলো দিয়ে হাতি তাড়ানো সম্ভব হয়ে উঠেনা। তাছাড়া প্রত্যেক হাতি প্রবণ গ্রামীণ এলাকায় ৫ জন করে ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হয়েছে।এই ৫ জন ভলান্টিয়ারের পক্ষে সমস্ত হাতি প্রবণ গ্রামীণ এলাকা গুলি থেকে সাধারণ মানুষ জনদের হাতির কবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব হয়ে উঠেনা।তবে ওই এলাকার ফরেস্ট বিট অফিসার টুটন দেবনাথের নামে এলাকাবাসী সহ গ্রামীণ এলাকার ভলান্টিয়াররা একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। উনার কর্তব্যের গাফিলতির কারণেই সমস্যা দিনের পর দিন বাড়ছে বলে অভিযোগ।


তবে তেলিয়ামুড়া বনদপ্তরের এডিএস টিম হাতি তাড়ানোর কাজে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে দিন থেকে রাত সর্বদা।এলাকাবাসী চাইছেন হাতির সমস্যা নিরসনে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুক বণদপ্তর।কিন্তু বনদপ্তর কবে নাগাদ হাতির সমস্যা নিরসনে স্থায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *